আব্দুল গফুর নান্নুঃ কক্সবাজার জেলার উখিয়ায় জালিয়াপালং ইউনিয়নে অপকা’র উদ্যোগে ইউনিয়ন পরিষদ চত্তরে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ১৬ দিন ব্যাপী কর্মশালা সূচনা উপলক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা অপকা(অর্গানাইজেশন ফর দ্যা পূওর কমিউনিটি এ্যাডভান্সমেন্ট)এর উদ্যোগে এবং কেয়ার বাংলাদেশের এর সহযোগিতায় এবং জার্মান ফেডারেল ফরেন অফিস এর অর্থায়নে বৃহস্পতিবার ২৫ ই নভেম্বর উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদ চত্তরে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ১৬ দিন ব্যাপী প্রচারনা সূচনা উপলক্ষ্যে নারীর প্রতি সহিংসতা র্নিমুলের জন্য মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠান হয়।
উক্ত সভায় প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা মহিলা ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা শিরিন ইসলাম,কেয়ার বাংলাদেশ এর টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর-জিবিভি বিলকিস বেগম,সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার সাইফুল ইসলাম,অপকা’র প্রোগ্রাম ম্যানেজার আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, প্রোগ্রাম অফিসার মমতাজ বেগম এবং অপকার কর্মকর্তা প্রমুখ।
অপকা’র প্রোগ্রাম ম্যানেজার আনোয়ার হোসেন চেীধুরীর সঞ্ছালনায় ১৬ দিন ব্যাপী প্রচারনা সুচনা উপলক্ষ্যে নারীর প্রতি সহিংসতা নির্মূলের জন্য মত বিনিময় সভা কেয়ার বাংলাদেশ এর টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর-জিবিভি বিলকিস বেগম বলেন, অপকা কেয়ার বাংলাদেশের সহযোগিতায় জালিয়া পালং ইউনিয়নে লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে মে ২০২০ সাল হতে Improved Sexual and Reproductive Health, GBV Survivor support and protection from GBV of Rohingya Refugess and Host Community Member in Cox’sbazar শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় নানাবিধ কর্মসুচী পালন করে আসছে।
উক্ত প্রকল্পের আওতায় জালিয়াপালং ইউনিয়নের ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সোনাইছড়ি ও সোনারপাড়া গ্রামে দুটি নারী ও কিশোরীদের নিরাপদ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।উক্ত কেন্দ্রে এসে এলাকার কিশোরী এবং নারীগণ মনোসামাজিক সেবা,সেলাই প্রশিক্ষণ,বিভিন্ন হস্তশিল্প প্রশিক্ষণ,সচেতনতা মুলক সভা সহ আইনী সহায়তা পেয়ে থাকেন।এছাড়াও এলাকায় আউটরিচ গ্রুপের মাধ্যমে বিভিন্ন সচেতনতা সভা ও প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।তিনি আরো বলেন,অপকা কেয়ার বাংলাদেশের সহযোগিতায় নারীর প্রতি সহিংসতা র্নিমুলের জন্য ২৫ নভেম্বর হতে ১০ ডিসেম্বর ১৬ দিন ব্যাপী প্রচারনার অংশ হিসেবে জালিয়াপালং ইউনিয়নে দুটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে রচনা প্রতিযোগিতা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা নারী ও কিশোরীদের নিরাপদ কেন্দ্রে আলোচনা সভা ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রধান অতিথি উখিয়া উপজেলা মহিলা ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা শিরিন ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন,যৌন হয়রানি একটি অমার্জনীয় অপরাধ। যৌন হয়রানি ও লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ সমাজের প্রতিটি মানুষেরে জীবনের জন্য হুমকি স্বরুপ এবং মানবাধিকার লঙ্গনের চরমরূপ।যৌন হয়রানি ও লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ বাংলাদেশ সরকার বহু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ এখন সময়ের দাবি।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে সমিাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনি এর আওতায় উক্ত ইউনিয়নে বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।তিনি লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা ও ধর্ষন প্রতিরোধে নির্যাতনের শিকার নারীদের এমনভাবে প্রাথমিক সেবা দিতে হবে, যাতে সে সমন্বিতভাবে একসঙ্গে মানসিক কাউনসেলিং,চিকিৎসা,শারীরিক ও আইনি সেবা পায়। বাল্য বিবাহ ও যৌতুক প্রথা বন্ধের জন্যে উপস্থিত সবাইকে আহবান জানান।