উখিয়ার হলদিয়ায় বাবা,ছেলে,মামার নেতৃত্ব ইয়াবা ব্যবসা,৩ জনের ৪টি ইয়াবা মামলা,তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে র‌্যাব ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা।

0 ৮৮

ক্রাইম প্রতিনিধিঃ সীমান্ত উখিয়ায় একই পরিবারের বাবা ছেল, মামা ৩জন থেকে ৪টি ইয়াবা মামলা, সহ ১০ থেকে ১৩ মামলার আসামী তারা। তাদের কে পুলিশ খুঁজছে! তাদের দেখলে নিকটতম থানায় খবর দিয়ে ধরিয়ে দিন। এবং কোন ব্যক্তি তাদের সন্ধান দিতে পারলে পুরস্কার ঘোষণাও রয়েছে জানাগেছে।

প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কক্সবাজার জেলার ডজন মামলার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তালিকা ভুক্ত আসামী সাবেক মেম্বার সাহাব মিয়া হাজীর ছেলে ইয়াবা ডন আলী আহাম্মদের পারিবারিক দখলে ইয়াবা বাজার। এলাকার যুব সামাজকে ইয়াবা ব্যবসার করে রাতারাতি কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়ার স্বপ্ন দেখিয়ে ইয়াবা ব্যবসায় জড়াচ্ছে স্কুল, কলেজ পড়ুয়া ছাত্র, এবং এলাকার শতশত যুব সমাজকে। এ পর্যন্ত রাতারাতি কোটি টাকার স্বপ্ন দেখেয়ে ২শতাধিক ছাত্র ও যুবকে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত করে জেলে যেতে হয়েছে নয়তো এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তারা পরিবারের উপার্জনের একমাত্র ভরাসা ছেলে, স্বামী অথবা ভাই তাদেরকে আলী আহাম্ম, রাজ্জাক ইয়াবা সিন্ডিকেট করিয়ে দেশ ত্যাগ করেছে, আসামী খাতায় নাম লেখেছে, অথবা জেলে মানবতার জীবন যাপন করছে।

গত (বুধবার) ২৫ আগস্ট২১বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ির সোনাইছড়ি বৈদ্যছড়া এলাকা থেকে ১লাখ ৩৫ হাজার ইয়াবা অর্থাৎ(১৫ কার্ড) ইয়াবাসহ সোনাইছড়ি ইউনিয়নের আনোয়ার হোসেন নামের এক মাদক কারবারি কে আটক করেছে নাইক্ষ্যংছড়ি থানা। তার স্বীকারোক্তিতে ইয়াবা গুলোর মূল মালিক ও পাচার কারিদের নাম মৃত এজহার মিয়া ছেলে মোর্শেদুল আলম টিটু, সাহাব মিয়া হাজির ছেলে আলী আহম্মদ, বাদশাহ আলম ছেলে আরমান, আবদু রশিদ ছেলে হামিদ, মৃত বদিউল হক ছেলে রাজ্জাক উদ্দীন, এজহার মিয়ার ছেলে বশির আহাম্মদ, আলী আহাম্মদ ছেলে আলফাজ মাহমুদ বিজয় এরা মাল গুলো পরিচালনা করে। এবং আনোয়ার হোসেনকে ৫০হাজার টাকার বিনিময় মাল বহনকারী হিসেবে নিযুক্ত করেছিল।

অনুসন্ধানে উঠে এসেছে ইয়াবা ডন আলী আহাম্মদ ঘনিষ্ঠ জনদের কে নিয়ে ২০১৬ সাল থেকে নিয়মিত ইয়াবা ব্যবসা ও পাচার করে আসছিল।

১লক্ষ৩৫ হাজার ইয়াবা চালানের আগের দিন (২৪আগস্ট২১) আলী আহাম্মদ এর ইয়াবা পাচার করতে গিয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থানা পুলিশের হাতে আটক হয় আলী আহাম্মদ এর আপন ছোট বোনের জামাই হলদিয়া পালং পাগলির বিলের রুবেল ও বহণ কারি কামাল।

একদিন পার হতে না হতে ২৫আগস্ট২১ আলী আহাম্মদ ১লক্ষ ৩৫ হাজার ইয়াবা নিয়ে আলী আহাম্মদ সহ ৮জন আসামী হয়। এর মধ্যে ২ ও ৭ নং আসামী অর্থাৎ মোর্শেদুল আলম টিটু ও বশির আহাম্মদ আলী আহাম্মদ এর আপন বোনের দেবর চট্টগ্রামের ভাষায় তালতো ভাই ( বিয়াই)।

৬ ও ৮ নং আসামি রাজ্জাক উদ্দীন আলী আহাম্মদ এর স্ত্রীর আপন বড় ভাই ও বিজয় আলী আহাম্মদ এর আপন বড় ছেলে বলে মেম্বার ও চেয়ারম্যানের সূত্রে জানা গেছে।

বুধবার ২৫ আগস্ট২১ নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় ( যার জিআর ২৫৬/২১) মামলার আসামী হয় তাদের নাম ১.আবদুর রশিদ ছেলে আনোয়ার হোসেন, ২.মৃত এজহার মিয়ার ছেলে মোর্শেদুল আলম টিটু , ৩নং সাহাব মিয়া হাজির ছেলে আলী আহম্মদ, ৪নং বাদশাহ আলম ছেলে আরমান, ৫নং আবদু রশিদ ছেলে হামিদ, ৬.মৃত বদিউল হক ছেলে রাজ্জাক উদ্দীন, ৭. এজহার মিয়ার ছেলে বশির আহাম্মদ, ৮নং আলী আহাম্মদ ছেলে আলফাজ মাহমুদ বিজয়।

২০১৮ সালে নাইক্ষ্যংছড়ি থানা পুলিশের হাতে ইয়াবা নিয়ে ধরাপড়ে আলী আহাম্মদ (যার জি.আর মামলা নং ১৫/১৮)। সে উক্ত মামলায় বান্দরবান জেল থেকে জামিনে এসে তিন মাসের ব্যবধানে ২০১৯ সালে কর্ণফুলী থানা পুলিশের হাতে আবারও ইয়াবা নিয়ে আটক হয় সে। (যার জিআর মামলা নং ২৫২/১৯) উক্ত মামলায় ২০২০ সালে চট্টগ্রাম কোর্টে থেকে জামিনে এসে আবার ইয়াবা বাজার দখলে নিয়েছে আলী আহাম্মদ ও তার ছোট ভাই নুর মোহাম্মদ। ২০২০ সালের শেষে ২০২১ সালের শুরুতে আলী আহাম্মদ জামিনে এসে নিয়মিত ইয়াবা পাচার করে আসছিল। এবং ১৩ /৮/২০২১ ইং নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় আরও একটি ইয়াবা মামলা রুজু হয়। যার জি আর মামলা নং ২৩৯/২০২১ ।

২৫/৮/২০২১ নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় ১লক্ষ ৩৫ হাজার ইয়াবার যার জি আর মামলা ২৫৬/২১।

নাইক্ষ্যংছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলমগীর হোসেন জানান আলী আহাম্মদ সহ অন্যান্য আসামীরা দীর্ঘদিন যাবৎ ইয়াবা ব্যবসায় করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় ৩ টি ইয়াবা রয়েছে।

আলী আহাম্মদ থেকে ৪টি ইয়াবা মামলা, ১মানব পাচার, একটি নারী নির্যাতন, ২টি অপহরণ মামলা সহ অনেক মামলা রয়েছে।

রাজ্জাক উদ্দীন থেকে ভূমিদস্যু, সন্ত্রাসী, নারী নির্যাতন, অপহরণ সহ দেড় ডজনের অধিকা মামলা রয়েছে বলে থানা এবং কোর্টের সূত্রে জানা যায়।

তাদের কে পুলিশ খুঁজছে! তাদের দেখলে নিকটতম থানায় খবর দিয়ে ধরিয়ে দিন। এবং কোন ব্যক্তি তাদের সন্ধান দিতে পারলে পুরস্কার ঘোষণাও রয়েছে।

এলাকার হাজার হাজার মানুষ দাবি আলী আহাম্মদ সহ সংশ্লিষ্ট সন্ত্রাসী ও ইয়াবা সম্রাটদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে র‌্যাব-১৫ ও কক্সবাজার পুলিশ সুপার প্রতি আনুরোধ জানিয়েছে এলাকা বাসি।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!