এসি ল্যান্ড অফিসের দুর্নীতি ও হয়রানি রোধে ভূমি মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা সুজনের।

0 ২৪২

এসি ল্যান্ড অফিসের অনিয়ম,দুর্নীতি ও হয়রানি রোধে ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।আজ শনিবার(১১ ডিসেম্বর ২০২১ইং)এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি উপরোক্ত বিষয়ে ভূমি মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এসময় তিনি বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই জনসাধারনের ভোগান্তি এবং সময় ক্ষেপন রোধকল্পে ভূমি মন্ত্রণালয়ের যাবতীয় কাজসমূহ ডিজিটালাইজেশনের জন্য নানামূখী কর্মপরিকল্পনা গ্রহন করেছেন।দীর্ঘদিন ধরে ভূমি অফিসগুলোতে জনগনকে হয়রানি করার যে রেওয়াজ ছিলো তা নিরসনে ভূমি অফিসগুলোতে আকস্মিক পরিদর্শন করে অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন ভূমি মন্ত্রী।তাছাড়া ভূমি মন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় মন্ত্রণালয় বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে।

এমনকি আন্তর্জাতিকভাবে পুরস্কারও অর্জন করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়।কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্যি যে মন্ত্রণালয়ের নানামূখী উদ্যোগের পরেও কতিপয় দুষ্টু ও দুর্নীতিবাজ চক্র ভূমি অফিসকে কেন্দ্র করে তাদের হীন প্রচেষ্ঠা অব্যাহত রেখেছে।সরকার অনলাইনে আবেদন করে ই-নামজারির ব্যবস্থা করলেও প্রকৃতপক্ষে জনগন এর সুফল ভোগ করতে পারছে না।

কোন না কোন কারণে তাদেরকে এসি ল্যান্ড অফিসে যেতেই হচ্ছে।আর এসি ল্যান্ড অফিসে গেলেই তারা দুর্নীতি ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন।এক শ্রেণীর দুর্নীতিবাজ চক্র কৌশলে সরকারের সাথে জনগনের দূরত্ব সৃষ্টির অপপ্রয়াসে লিপ্ত রয়েছে।তারা ভূমি অফিসের কাজে অনলাইনের পরিবর্তে জমির মালিককে অফিসে আসতে উৎসাহিত করে।

এসি ল্যান্ড অফিসের কোন কোন কর্মকর্তাও এসব অনৈতিক কাজে সায় দেন। তারা কোন কোন ক্ষেত্রে প্রভাবশালীদের পক্ষ হয়ে জমির প্রকৃত মালিকদের নামজারিসহ বিভিন্ন কাজে হয়রানি করে থাকে।এতে করে ভূমি অফিসকে কেন্দ্র করে জনগনের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। জনগন নিরূপায় হয়ে বর্ধিত টাকা দিয়েই তাদের প্রয়োজনীয় কাজ সেরে নিচ্ছে।কাংখিত টাকা দিতে ব্যর্থ হলে তাদেরকে দীর্ঘসূত্রিতার জালে আটকে ফেলা হচ্ছে। এতে করে জনগন জমি ক্রয় এবং বিক্রয়ে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন।তাই বাধ্য হয়েই তাদের অনৈতিক প্রস্তাব মেনে নিতে হচ্ছে।

এসব চক্র কৌশলে তহশিল এবং এসি ল্যান্ড অফিসের গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ডপত্র গায়েব করে ফেলে।তাছাড়া গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ঘষামাজা করে ভূমির প্রকৃত মালিককে হয়রানি করে। অনেক ক্ষেত্রে তারা এভাবে জায়গা জমিও আত্নসাৎ করে থাকে।এসব অফিসকে কেন্দ্র করে এক শ্রেণীর দুষ্টু চক্র সরকার ও জনগনের মাঝে দেওয়াল সৃষ্টির চেষ্টা করছে।দেওয়াল সৃষ্টির অপচেষ্টায় জড়িত এসব দুর্নীতিবাজদের রুখে দাড়াতে হবে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশের স্লোগান দিয়ে সর্বক্ষেত্রে দেশকে ডিজিটালাইজেশনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীও এক্ষেত্রে অনেক বেশি আন্তরিক। সুতরাং এসি ল্যান্ড অফিসের কতিপয় অসাধু ব্যক্তির কারণে সরকারের বিশাল অর্জন কোনভাবেই ম্লান হতে দেওয়া যায় না। এজন্য ভূমি মন্ত্রণালয়কে উন্নত ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে দিতে হবে।

এক্ষেত্রে প্রতিটি এসি ল্যান্ড অফিসে উন্নত প্রযুক্তির ক্ষমতা সম্পন্ন আইপি ক্যামেরা স্থাপন করা যায়। এর মাধ্যমে সরাসরি ভিডিও কনফারেন্স করার সুযোগ রয়েছে। ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণকারী যে কোনো কর্মকর্তা চাইলে যে কোনো সময় অনলাইনে সংশ্লিষ্ট অ্যাপে প্রবেশ করে গোপনে ভূমি অফিসের সার্বিক কার্যক্রম মনিটরিং করতে পারবেন।

এসব নানামূখী পদক্ষেপের মাধ্যমে এসি ল্যান্ড অফিসকে সত্যিকার অর্থে ডিজিটাল এবং জনগনের আস্থার প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা গেলে জনগনই অনেকাংশে এর সুফল ভোগ করবেন বলে মত প্রকাশ করেন সুজন। তবে এজন্য এসি ল্যান্ড অফিসের সকলস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আন্তরিক হতে হবে বলে যোগ করেন তিনি। তিনি নাগরিক সাধারণের যে কোন ধরণের ভোগান্তি নাগরিক উদ্যোগকে জানানোর অনুরোধ জানান।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!