কবিতা জাহান কলির নতুন কবিতা ” আলো আঁধারে “।

0 ৩৮৭,৬৪৫

আলো আধারে

কবিতা জাহান কলি

————————————————————

কেনোরে মা এত সহিস তাপ,চাপ যন্ত্রণা

বিধাতার লিখা ভাগ্যের নিয়ম চারিস না তবুও বন্দনা।

রাস্তার পারাবার,মানুষের দ্বারে দ্বার

হচ্ছিস শিকার প্রায়াসে,

পুরা কপালে জন্ম নিয়া ভিহ্মা করি কি আর আউশে।

দুমুঠো চাল,পাতিলের সুধায় বসাতে আমি হ্মুন্ন

গিয়েছিলাম মা,

মন্ত্রীর বাড়ি গরিবের জুটেনি অন্ন।

সাধ করে কি আর ভিহ্মা মাঙ্গিতে,তবুও মা সুখে থাক।

অভাব আমাকে রাখিলেও ঘিরে,তরি অভাব দূরে যাক।

 আজি যদি বাবা বাঁচিয়া রহিতো হতো কি বল এমন,

আমাদের মুখে হাসি দেখিতে,সুখ খুজিতো প্রাণ-পন।

মারে চিন্তা তুই করিস না,পৃথিবীর সব নিয়মে

দেখে নিস মা আমাদের ঘরেও,একদিন সুখ হাসিবে।

মা আজকে বিদায় দেনা একটু মোরে,

শুনেছি তোজাবাবু পিরে ছে এই না শহরে।

বাবুর কাছে পাতিয়া দেখি আমার দুটো হাত,

আজ নি বসাতে পারি শূন্য হাড়িতে,একমুঠো ভাত।

দিনের শেষে,ধূধলির আলোয় রাস্তায় ধরে হাটি

অভাগীর ভাগ্যে লিখা নেই সুখ,জীবন নয় পরিপাটি। বাবু সাহেব দিয়েছেন কিছু কানাকড়ি,

আজ মায়ের জন্য কিনিবো কিছু,সামান্য ঔষধের হাড়ি।

দিনের শেষে রাএী আলোয় মা তুই হবি উজ্জ্বল

 সারারাত এর কন্না শেষে  প্রাণ করিবে চঞ্চল।

দোয়ারে এসেছি  মা খুলে দেনা একটু দ্বার

মা তুই থাকিস নে রেগে আমার উপরে আর।

মা দেখ তোর জন্য কিনিয়া এনেছি একটা নতুন শাড়ি,

 এই দেখ মা ঔষধের পাতা,সেরে উঠবি তারাতাড়ি।

একটু খানি হাস,রান্নার পর খেয়ে দেয়ে কাটাবো উপবাস।

ওমা সারা দে মোরে,পারছি মা সহিতে,বইছে চোখে জল

ওগো আল্লাহ বুকের কান্না হলাম হত-বিহবল।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!