কাপ্তাই হ্রদের পানিতে ফুল ভাসিয়ে বাংলার পুরোনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছে পাহাড়ি জনগোষ্ঠী।

0 ১,০০০,৩৪৯

বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি শহরের রাজবনবিহার ও ডিসি বাংলো ঘাটসহ বিভীন্ন স্থানে সকল বয়সের নারী-পুরুষ মিলে পানিতে ফুল ভাসিয়ে ঐতিহ্যবাহী এই উৎসব উদ্‌যাপন করেন।এই দিনকে চাকমা সম্প্রদায়ের  কাছে ফুল বিজু নামে পরিচিত।তাঁরা বিশ্বাস করেন,এই ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে পুরোনো বছরের গ্লানি মুছে গিয়ে নতুন বছর বয়ে আনে সুখ,শান্তি ও সমৃদ্ধি।যুগ যুগ ধরে এই উৎসব উদ্‌যাপন করে আসছে এদেশের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীরা।

আজ ১২ এপ্রিল পালন করা হলো ফুলবিজু।এই দিন ভোরের আলো ফুটার আগেই ছেলেমেয়েরা বেরিয়ে পড়ে ফুল সংগ্রহের জন্য।সংগ্রহিত ফুলের একভাগ দিয়ে বুদ্ধকে পূজা করা হয় আর অন্যভাগ পানিতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়।বাকি ফুলগুলো দিয়ে ঘরবাড়ি সাজানো হয়।চৈত্র মাসের শেষ দিন অর্থাত্‍ ১৩ এপ্রিল পালন করা হয় মুলবিজু।এইদিন সকালে বুদ্ধমূর্তি গোসল করিয়ে পূজা করা হয়।

ছেলেমেয়েরা তাদের বৃদ্ধ দাদা-দাদী এবংনানা-নানীকে গোসল করায় এবং আশীর্বাদ নেয়। এই দিনে ঘরে ঘরে বিরানী সেমাই পাজন(বিভিন্ন রকমের সবজির মিশ্রণে তৈরি এক ধরনের তরকারী)সহ অনেক ধরনের সুস্বাদু খাবার রান্না করা হয়।

বন্ধুবান্ধব আত্নীয়স্বজন বেড়াতে আসে ঘরে ঘরে এবং এসব খাবার দিয়ে তাদেরকে আপ্যায়ন করা হয়।সারাদিন রাত ধরে চলে ঘুরাঘুরি।বাংলা নববর্ষের ১ম দিন অর্থাত্‍ ১৪ এপ্রিল পালন করা হয় গজ্যা পজ্যা দিন(গড়িয়ে পড়ার দিন)।এই দিনেও বিজুর আমেজ থাকে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!