খুটাখালী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীর পোষ্টার ছিড়ে ফেলার অভিযোগ

0 ২৬০

কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের পোষ্টার ছিড়ে ফেলার অভিযোগ ও নির্বাচনী আচরনবিধি লংঘনের দাবী উঠেছে।

ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে মেম্বার-চেয়ারম্যান প্রার্থীরা মোটরসাইকেল শো ডাউন করে গণসংযোগ করেন যা নির্বাচনী আচরনবিধি পরিপন্হী। নির্বাচন আসলে পক্ষে বিপক্ষে প্রতিযোগিতা থাকতেই পারে কিন্তু সকল প্রার্থীকে একে অন্য প্রার্থীর প্রতি সম্মান রেখে এবং নির্বাচনী আচরণবিধি মেনেই নির্বাচনী প্রচার প্রচারনা, গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক করবেন এটা আইনে বলা আছে।

খুটাখালী ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ বেলালের প্রধানমন্ত্রীর ছবি সম্বলিত পোষ্টার বিভিন্ন রাস্তার পাশে সাটানো হয়েছে। কিন্তু রাতের আধাঁরে ঐ সমস্ত পোষ্টার কে বা কারা ছিড়ে মাটিতে ফেলে দিয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

জয় পরাজয় নিয়েই তো নির্বাচনে বিভিন্ন দল ও মতের প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী হিসেবে প্রতিযোগিতা করে থাকেন। কিন্তু কোন প্রাথীর কর্মী সমর্থকর্রা তার প্রতিপক্ষ প্রার্থীর ব্যানার কিংবা পোষ্টার ছিড়ে ফেলা আইন সমর্থন করে না।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানায়, কোন কোন প্রার্থী গরীব ভোটারদের কাছে টানতে টাকা বিলি শুরু করেছেন। অনেক ভোটার নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এভাবে প্রকাশ্যে টাকা বিলি করলে যে কোন সময় নির্বাচনী সুষ্ঠু পরিবেশ বিঘ্নিত হয়ে তা সংঘাতে রুপ নিতে পারে।

এদিকে সরকার দলীয় নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ বেলালের কর্মী সমর্থকরা বিভিন্ন গ্রামে ও রাস্তার পাশে পোষ্টার সাটানোর ব্যবস্থা করলে রাতের আধাঁরে কে বা কারা নৌকার পোষ্টার ছিড়ে মাটিতে ফেলে দিয়েছে।

একই অভিযোগ তুলেছেন ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী (মোটর সাইকেল) বর্তমান চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আবদুর রহমান।

তিনি জানান,আমাদের জীবন চলার ক্ষেত্রে প্রতিটি মানুষের জন্য আইন রয়েছে। আমরা যারা নাগরিকরা রয়েছি প্রচলিত আইন মেনেই চলতে হয়। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক যে আইনের নীতিমালা দেয়া আছে আমরা সকল প্রার্থীরা আচরণবিধি মেনেই নির্বাচনী প্রচার প্রচারনা করতে হবে।

নির্বাচনে প্রতিযোগিতা থাকাটা স্বাভাবিক কিন্তু নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে কোন প্রার্থীর কর্মী কিংবা সমর্থক হতে পারেন রাতের আধাঁরে আমার সাটাঁনো পোষ্টার ছিড়ে ফেলাটা আইনের পরিপহ্নি। তিনি বিষয়টি তাৎক্ষণিক রির্টানিং অফিসারকে জানিয়েছেন।

পোস্টার ছেড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ্ব অধ্যক্ষ এসএম মনজুর বলেন, পোষ্টার ছেঁড়া একটি ছোটলোকি কাজ। পোস্টার ছেঁড়ার মাধ্যমে আমাদেরকে জনগণের মন থেকে মুছে ফেলতে পারবে না।

এই নির্বাচনে জয়লাভ করার জন্য আমাদের যা করণীয় আমরা তা করেছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস জনগণ আনারস প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য উৎসুক হয়ে আছে। যদি নির্বাচন কমিশন নুন্যতম সুষ্ঠু ভোট দিতে সক্ষম হয় তবে আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত বলে আমি বিশ্বাস করি।

অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী মুহাম্মদ রিহাবুল আলম বলেন, প্রার্থীর পোস্টার ছেঁড়ার মাধ্যমে নির্বাচন আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘন করা হচ্ছে। আমি আশা করবো একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশন এসব বিষয় খুব দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন ,কেহ নিার্বচনী আচরণবিধি লংঘন করলে কিংবা প্রতিপক্ষ প্রার্থীর সাটানো পোষ্টার ছিড়ে ফেললে সে যে কেহই হোক তার বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!