চসিকের ভুতুড়ে শ্রমিকের খোঁজে তদন্ত কমিটি

0 ২১৫

আব্দুল করিম,চট্রগ্রামঃ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমে ডোর টু ডোর কর্মসূচির ভুতুড়ে শ্রমিকের খোঁজে নেমেছে সংস্থাটি।নবনিযুক্ত প্রশাসকের নির্দেশে চলছে তদন্ত।একারণে তাদের বেতনও বন্ধ রয়েছে।সাধারণত প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যেই বেতন পরিশোধ করে চসিক।

চসিক সূত্র জানায়,২০১৭ সালে‘ডোর টু ডোর’ আবর্জনা সংগ্রহ করতে ১৯৭২ জন পরিচ্ছন্নকর্মী নিয়োগ দেয়া হয়।পরবর্তীতে তা বাড়িয়ে ২০১২ জনে উন্নীত করা হয়।এই খাতে মাসে বেতন আসে প্রায় আড়াই কোটি টাকা।ডোর টু ডোর কার্যক্রমটি প্রশংসিত হলেও এর সমালোচনাও আছে।বিশেষ করে ভুতুড়ে শ্রমিক বেতন তুলে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে।অনেক শিক্ষিত ব্যক্তিও ডোর টু ডোর আবর্জনা সংগ্রহের কাজে চাকরি নিয়েছেন।কিন্তু বাস্তবে তারা এই কাজ করেন না।যার কারণে চসিক থেকে প্রতিমাসে বিশাল অংকের টাকা চলে যাচ্ছে।এমন অভিযোগ শুরু থেকেই ছিল।খোরশেদ আলম সুজন প্রশাসক নিযুক্ত হওয়ার পর বিষয়টি তিনি গুরুত্বসহকারে তদন্তের নির্দেশ দেন।তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম।এছাড়া পরিচ্ছন্ন ও হিসাব শাখার প্রতিনিধিও এই কমিটিতে রয়েছেন।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ খোরশেদ আলম সুজন বলেন,আমি জানতে পেরেছি ডোর টু ডোর কর্মসূচির মাধ্যমে চসিকের ব্যাপক অর্থ অপচয় হচ্ছে।কারণ এখানে যেসব জনবল নিয়োগ দেয়া হয়েছে তার প্রায় অর্ধেকই ভুতুড়ে।অর্থাৎ কাজ না করেই বেতন নিয়ে যাচ্ছে।

শোনা কথায় বিশ্বাস না করে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।দুর্নীতি বন্ধ করা গেলে খরচ অনেক কমে যাবে।আর সেই খরচ বাঁচিয়ে নগরীর জন্য উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা যাবে।তাই আমি আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছি দুর্নীতি বন্ধ করতে।এই লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।নেত্রী যে আস্থা এবং বিশ্বাস নিয়ে আমাকে এই দায়িত্ব দিয়েছেন তার প্রতিদান দিতে আমি যেকোন ঝুঁকি নিতে রাজি আছি।দুর্নীতিবাজরা যতই ক্ষমতাশালী হোক না কেন আমি কাউকে ছাড়ব না।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!