চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাজুদা বেগম ও তার পুত্র মোঃ আঃ রহিম মিজির বিরুদ্ধে পুত্র বধুকে যৌতুকের দাবীতে নির্যাতনের কারনে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

0 ১১৬

চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধিঃ চাঁদপুর জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক জেলা জাজ , গত ০৫/১২/২১ তারিখে এক আদেশে উক্ত মামলার আসামি৷ মোঃ আঃ রহিম মিজি ও মাজুদা বেগমকে গ্রেপতারের আদেশ দেন। ঘটনার বিবরনে মামলার কপি ও সরোজমিনে তথ্যানুসন্ধানে জানা যায় মামলার বাদীনি মুনতাহা ইসলাম আন্ত (২৩) ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাজুদা বেগমের পুত্র মোঃ আঃ রহিম মিজির সহিত উভয় পক্ষের অভিভাবকের সম্মতিতে পারিবারিক ভাবে ২০১৩ সালের মার্চ মাসের ০২ তারিখে ইসলামী শরীয়া মতে দশ লক্ষ টাকা মহোরানা ধার্য পুর্বক বাদীনির পিতার খরচে আনুমানিক পাঁচ লক্ষাধিক টাকার স্বর্নালংকার ও আসবাবপত্র প্রদান পূর্বক বিবাহ সম্পন্ন হয়। বাদীনির পিতা মাতা রেজিষ্ট্রেশন করার প্রস্তাব দিলে, ছল চতুরতা করে রেজিষ্ট্রেশন না করে দুরভিসন্ধি বাস্তবানের জন্য পরে রেজিষ্ট্রেশন করবে বলেন, মাজুদা বেগম ।

 

বাদীনির পক্ষ থেকে রেজিষ্ট্রেশনের জন্য বেশ কয়েকবার প্রস্তাব উপস্থাপন করা সত্বেও পরে করে নিবে বলে বিবাদী গন রেজিঃ অসম্পূর্ণ রাখিয়াছেন । বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই শুরু করে বিভিন্ন ভাবে বাদীনিকে অত্যাচার, বাপের বাড়ী থকে বাড়ী করার জন্য বিশ লক্ষ টাকা আনার জন্য নানামূখি অত্যাচার ও শারীরিক নির্যাতন করতে থাকে। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার জন্য বেশ কয়েকবার সালিশ বৈঠক ও অনুষ্ঠিত হয়, উক্ত সালিশে নগদ টাকা প্রদানে বাদীনির অভিভাবক অস্বীকৃতি প্রদান করায় এবং বিবাদী গনের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে 6 শতক জায়গা সালিশগনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাদীনির নামে হেবা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাদীনির পিতা-মাতা মানিয়া নেন এবং সেই মোতাবেক পৌর সদরে বাদিনীর নামে 6 শতাংশ জায়গা হেবা করিয়া দেওয়ার রেজিস্ট্রি সম্পূর্ণ কালীন সময়ে বিবাদীগন সু-চতুরতার সাথে উক্ত ৬ শতক জায়গার মধ্যে বাদীনির নামে তিন শতক এবং 1 নং আসামীর নামে তিন শতক প্রতারণা করে রেজিস্ট্রি করে নেন, এতেই ক্ষান্ত হননি উক্ত প্রতারক বিবাদী গন কিছুদিন পরেই আবার শুরু করেন বাদীনিকে অত্যাচার নির্যাতন । বিবাদী গন আবার বাদীনিকে ১ নং আসামীর ব্যবসার জন্য বাপের বাড়ি থেকে 15 লক্ষ টাকা আনার জন্য বিভিন্ন ধরনের অত্যাচার নির্যাতন ও চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। বাদীনি আসামি দ্বয়ের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে বাপের বাড়িতে চলে আসেন। আবার শুরু করে নতুন খেলা শ্বশুর বাড়িতে এবার ১ নং আসামী বেড়াতে এসে দাবী করেন বাদীনির বাবার ফ্লাটের নিকটে একটি ফ্লাটে বাদীনিকে নিয়ে থাকতে চায়, বাদীনির বাবা মা মেয়ের সুখের কথা ভেবে মেয়ে চোখের সামনে থাকবে তাই তাদের বাদীনির বাবার ফ্লাটের নিকটে বাদীনিকে থাকার জন্য একটি ফ্লাট দেন।কিছুদিন পরেই আসামী দ্বয় ঐ ফ্লাটে এসে ফ্লাটটি এক নং আসামীর নামে রেজিষ্ট্রি করে দেওয়ার প্রস্তাব করেন। এতে বাদীনির মাতা পিতা রাজি না হওয়ায় বাদিনীর ফ্লাটে এসে তার স্বামী মোঃ আব্দুর রহিম মিজি ও তার মা মাজুদা বেগম তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা একটি নিয়মিত রুটিনে পরিণত করে ফেলেছিল। সবশেষ গত ২৭ ২.২০২১ তারিখে বাদীনির বাসায় এসে নগদ পনর লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে এবং বাদিনীর পিতার একটি ফ্লাট রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার জন্য বাদীনিকে বেদরক মার পিঠ করতে শুরু করে তার আর্ত চিৎকারে আশেপাশের ফ্লাটের লোকজন চলে আসায় আসামী আঃ রহিম বাসায় থাকা বাদীনির সৃর্নালংকার ও নগদ টাকাহ প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকার মতো নিয়ে পালিয়ে যায়।

 

অতপর বাদীনির পিতা খবর পেয়ে দ্রুত বাসায় এসে বাদীনিকে আহত অবস্থায় ফরিদগন্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান, কর্তব্যরত চিকিৎসক আহত বাদিনীর অবস্থা সংকটাপন্ন দেখে দ্রুত চাঁদপুর সদর হাসপাতালে প্রেরন করেন। সদর হাসপাতালে চিকিৎসা রত অবস্থায় বাদিনী ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা করতে চাইলে ভারপ্রাগ্ত কর্মকতা কোটে মামলা করার পরামর্শ দিলে গত ০১/০৩/২১ তারিখে চাঁদপুর জেলা জজ কোটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন প্রতিরোধ ট্র্যাইবুনালে মামলা দায়ের করেন যাহার নং ৪৪১ তাং ০১/০৩/২১. সবশেষ বিজ্ঞ জজ সাহেব গত ০৫/১২/২১ তারিখে উক্ত মামলার দুই আসামী বাদীনির স্বামী মোঃ আঃ রহিম মিজি ও তার মা মাজুদা বেগমকে গ্রেপতারি পরোয়ানা জারী করেন। ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ উক্ত গ্রেপতারি পরোয়ানা তামিল করতে এই নিউজ লেখা প্রর্যন্ত সম্ভব হয় নাই। থানা থেকে আসামীর ঠিকানা আধা কিলোমিটার হলেও পুলিশ বাদীনির ভাই কে নিয়ে আসামী ধরতেে গেলে আসামীদের লোকজন বাদীনির ভাইকে আক্রমন করলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করেন, মাজুদা বেগম কে বাসায় পেলেও তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি কারন মাজুদা বেগম জানান তিনি উচ্চ আদালতের চার সপ্তাহের জামিনে রয়েছেন, আর তার ছেলে এক নং আসামি পলাতক।সচেতন মহলের প্রশ্ন বর্তমান তর্থ্য প্রযুক্তির এই সময়ে এক নং আসামি গ্রেফতার না হওয়া রহশ্যজনক, আসামিদের প্রভাব পতিপত্বির জন্য নয় তো? বাদীনির পিতা জানান প্রশাসনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে তাকে বিষয়টি ধাপা চাপা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন রকম প্রস্তাব আসছে তবে আমি আইনের প্রতিশ্রদ্ধাশীল,আইনের বাহিরে আমার কিছু চাওয়া পাওয়ার নেই।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!