চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীকে হত্যা চেষ্টা। বন্দর থানায় অভিযোগ

0 ১৪০

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চাঁদা না পেয়ে পাশবিক নির্যাতন করে গুরুতর আহত করা হয়েছে ফজলুল হক জনি নামের এক ব্যবসায়ীকে।গত ২৫ জুন বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে নগরীর ২৬ নং ওয়ার্ডের মুন্সিপাড়া টোল রোড় সংলগ্ন কলাবাগান নামক জায়গায় এই ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনা নিয়ে ফজলুল হক জনি বাদী হয়ে বন্দর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। মো,সাজ্জাত আলী নুরী,মনোয়ার হোসেন সুমন,আরো অজ্ঞাতনামা তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়।

অভিযোগের সূত্র ধরে জানা যায়,অভিযোগের বাদী ফজলুল হক জনি আব্বাস পাড়া টোল রোড় এলাকায় দি হালিশহর টার্মিনাল নামক একটি প্রতিষ্টানে ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত আছেন।

তিনি জানান এলাকার দুর্দর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত সাজ্জাত ও তার বাহীনি বিভিন্ন চাঁদাবাজী মাদক ব্যবসা সহ পন্যবাহী গাড়ি হতে মালামাল চুরি ও এলাকায় ভুমিদস্যুতার কাজে জড়িত। দি হালিশহর ট্রার্মিনাল নামক প্রতিষ্টানের সত্তাধীকারি মো,নুর উদ্দিন এর কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে আসছে দীর্ঘদিন যাবদ। নুরউদ্দিন চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার ও হুমকি দেন সাজ্জাত ও তার সন্ত্রাসী বাহীনি।

টাকা না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে দি হালিশহর টার্মিনালের ম্যানেজার ফজলুল হক জনিকে গত ২৫ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে মুন্সিপাড়া টোল রোড সংলগ্ন রাস্তার পূর্বপাশে কলাবাগান নামক স্থানে জনিকে একা পেয়ে প্রকাশ্য সাজ্জাত ও তার সন্ত্রাসী বাহীনি হাত মুখ বেধে তার গোপন টর্সার সেলে নিয়ে গিয়ে লোহার রড় দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।

পরে আমার মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য বুকে ও পেটে উঠে পা দিয়ে সজোরে আঘাত করা হলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। কিছু ক্ষন পর জ্ঞান ফিরলে জনি নিজেকে পাশ্ববর্তী খালের পাশে নিজেকে আবিষ্কার করা করে। পরর্বতীতে দুই জন পথচারীর সহযোগীতায় জনিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান কার কতব্যরত ডাক্তার করোনা রোগীর আনাগোনা থাকায় বাসায় চিকিৎসা করার পরামর্শ দেন।

এই বিষয়ে থানায় অভিযোগ করার পর ভয় ও আতংক নিয়ে আছেন বলে ও জানান দি হালিশহর টার্মিনালের মালিক মোহাম্মদ নুর উদ্দিন। তিনি বলেন অভিযোগের পর একাধিক বার রাস্তায় একা পেয়ে সাজ্জাত বাহীনিরর সদস্যরা অভিযোগ তুলে ফেলার ও হুমকি দেন। আর অভিযোগ না তুললে আরো কঠিন পরিস্থিতি হবে বলেও হুসিয়ারি দিয়েছেন।তিনি আরো বলেন নুরউদ্দিন ও অভিযোগের বাদী মো,ফজলুল হক জনি ও তাদের পরিবার খুবই আতংকে দিন যাপন করছে।
এই ব্যাপারে বন্দর থানার সহযোগীতা কামনা করেছেন।

এই ব্যাপারে অভিযুক্ত সাজ্জাতের সাথে কথা বলে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন।অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা মিরাজ হোসেন জানান,আমি এই অভিযোগটি হাতে পেয়েছি। এবং দ্রুত তদন্ত করে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় নিয়ে আসব।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!