ছিন্নমূল সমাজের ৭নং নেতা সহ ২ জন গ্রেফতার।

0 ১৩৫

নিরপরাধ মিনুকে জেল খাটানো যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী কুলসুমার সহযোগী ছিন্নমূল সমাজের ৭নং নেতা সহ ২ জন গ্রেফতার ও আসামী কুলসুমার বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান।গত ২৯/০৫/২০০৬ইং তারিখ কোতোয়ালী থানাধীন রহমতগঞ্জ ৮১নং গলির সাইদ সওদাগরের ভাড়াঘরের মোবাইলে কথা বলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গার্মেন্টস কর্মী পারভিনকে গলাটিপে হত্যা করা হয়।

এ সংক্রান্তে মামলার তদন্ত ও বিচারে দোষী প্রমাণিত হলে গত ৩০/১১/২০১৭ইং তারিখ বিজ্ঞ আদালত আসামী কুলসুম আক্তার কুলসুমীকে পারভিন হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদন্ড সহ ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ১ বছরের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন।

বিষয়টি জানতে পেরে আসামী সঙ্গীয় অপরাপর ব্যক্তিদের সহায়তায় নিরপরাধ মিনুকে প্রলোভন দেখিয়ে সম্মতি আদায় করে তার বদলে আসামি হিসেবে হাজতে প্রেরণ করে।বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আসলে মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশে নিরপরাধ মিনু মুক্তি পায়।

গত ২৯/০৭/২০২১ তারিখ দিবাগত রাত ০৩.০০ ঘটিকার সময় ইপিজেড থানাধীন ২নং মাইলের মাথা কমিশনার গলি হতে উক্ত ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আসামী কুলসুমা ও মর্জিনা আক্তারকে আটক করা হয়।এ সংক্রান্তে আসামী কুলসুমা ও সঙ্গীয় অপরাপর ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় আরও একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়।

গ্রেফতার পরবর্তী রিমান্ডে গ্রেফতারকৃত আসামী কুলসুমা ও মর্জিনা আক্তার স্বীকার করে যে তারা এ বিষয়ে মোঃ নুর আলম কাওয়াল (৪৮) ও মোঃ শাহাদাত হোসেন (৪২) এর সাথে পরামর্শ করে ১,৫০,০০০ টাকার বিনিময়ে কুলসুমির বদলে মিনুকে জেলে পাঠানোর পরিকল্পনা করে।টাকার প্রলোভন দেখিয়ে ও এক মাসের মধ্যে জামিনের শর্তে তারা মিনুকে জেলে পাঠানোর ব্যপারে রাজি করায়। হাজিরার দিনে মোঃ শাহাদাত হোসেন ও মর্জিনা বেগম মিনু কে আদালতে কুলসুমা সাজিয়ে নিয়ে যায় এবং কুলসুমা হিসেবে ডাক দেওয়ার সাথে সাথে মিনু হাজতে ঢুকে যায়।

এ সংক্রান্তে আসামী কুলসুমা আক্তার কুলসুমী সম্পূর্ণ ঘটনার বিষয়ে বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!