তিনটি অভিযানে আনুমানিক ১০ লক্ষ ২০ হাজার টাকা মূল্যের ১,৭৪০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ২৯.৮ কেজি গাঁজা এবং ১২ বোতল বিদেশী মদ উদ্ধারসহ ০৫ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‍্যাব-৭,চট্টগ্রাম।

0 ১৩২

চট্টগ্রামের বাকলিয়া,সীতাকুন্ড এবং ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া থানা এলাকায় পৃথক তিনটি অভিযানে আনুমানিক ১০ লক্ষ ২০ হাজার টাকা মূল্যের ১,৭৪০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ২৯.৮ কেজি গাঁজা এবং ১২ বোতল বিদেশী মদ উদ্ধারসহ ০৫ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাব-৭,চট্টগ্রাম।

র‌্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদ্ঘাটন,অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।র‌্যাব-৭,চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী,ডাকাত, ধর্ষক,চাঁদাবাজ,সন্ত্রাসী,খুনি,বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার,মাদক উদ্ধার, ছিনতাইকারী,অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

গত ১৬ আগস্ট ২০২১ খ্রিঃ তারিখে চট্টগ্রামের বাকলিয়া,সীতাকুন্ড এবং ফেনীর ছাগলনাইয়া থানা এলাকায় পৃথক তিনটি অভিযানে আনুমানিক ১০ লক্ষ ২০ হাজার টাকা মূল্যের ১,৭৪০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট,২৯.৮ কেজি গাঁজা এবং ১২ বোতল বিদেশী মদ উদ্ধারসহ ০৫ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাব-৭,চট্টগ্রাম।নিম্নে বিস্তারিত উল্লেখ করা হলোঃ

র‌্যাব-৭,চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে,কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী একটি যাত্রীবাহী বাস যোগে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য নিয়ে কক্সবাজার হতে চট্টগ্রাম এর দিকে আসছে।উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে গত ১৬ আগস্ট ২০২১ তারিখ ০৪.৪৫ ঘটিকায় র‌্যাব-৭,চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া থানাধীন রাহাত্তরপুল এলাকায় কক্সবাজার-চট্টগ্রামমুখী পাকা রাস্তার উপর একটি বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন করে গাড়ি তল্লাশি শুরু করে।

এসময় র‌্যাবের চেকপোস্টের দিকে আসা একটি যাত্রীবাহী বাসকে থামানোর সংকেত দিলে বাসটি র‌্যাবের চেকপোস্টের সামনে থামায়।এসময় বাস থেকে নেমে একজন ব্যক্তি দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে র‌্যাব সদস্যরা ধাওয়া করে বাসের হেলপার আসামী মোঃ আশিক (২৮) (বাস হেলপার),পিতা- মৃত আবুল হোসেন,সাং- নূরপুর থানা- শায়েস্তাগঞ্জ,জেলা- হবিগঞ্জকে আটক করে।

পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে তার দেখানোমতে বাসের ভিতর এসির ফর্নেসার এর জালির ভিতরে সু-কৌশলে লুকানো অবস্থায় ১,৭৪০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারসহ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়।

অপর একটি গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে যে,কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী যাত্রীবাহী বাসে যোগে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য নিয়ে ফেনী হতে চট্টগ্রামের দিকে আসছে।উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে গত ১৬ আগস্ট ২০২১ তারিখ ০৯৩০ ঘটিকায় র‌্যাব-৭,চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড থানাধীন বাংলাবাজার এলাকার বিসমিল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়াকর্স এন্ড সার্ভিসিং সেন্টারের সামনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপর একটি বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন করে গাড়ি তল্লাশি শুরু করে।

এসময় র‌্যাবের চেকপোস্টের দিকে আসা একটি যাত্রীবাহী বাস থামানোর সংকেত দিলে বাসটি র‌্যাবের চেকপোস্টের থামে।এসময় বাস থেকে নেমে দুইজন মহিলা তাদের সঙ্গে থাকা ব্যাগ নিয়ে সুকৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে র‌্যাব সদস্যরা ধাওয়া করে আসামী ১। রশিদা বেগম (৪০), পিতা- মৃত নজু মিয়া, সাং- খুরুলিয়া থানা- কক্সবাজার সদর, জেলা- কক্সবাজার এবং ২। মদিনা বেগম (২১), পিতা- মোঃ তাহসিম, সাং- কুতুপালং, সাং- কুতুপালং, ঋ ব্লক, সেট নং-২৫, এমআরসি নং-৪৯০২২, থানা- উখিয়া, জেলা- কক্সবাজারদের আটক করে।

পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেখানোমতে নিজ হেফাজতে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করে ২০ কেজি গাঁজা উদ্ধারসহ আসামীদের গ্রেফতার করা হয়।

অপর একটি গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে যে,ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া থানাধীন মির্জার বাজার এলাকায় ইকবাল মেডিকেল হল ফার্মেসীর সামনে পাকা রাস্তার উপর কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে।উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে গত ১৬ আগস্ট ২০২১ ইং তারিখ ১৯৫০ ঘটিকায় র‌্যাব-৭,চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করলে র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে দুইজন ব্যক্তি বস্তাসহ দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে র‌্যাব সদস্যরা ধাওয়া করে আসামী ১। নুরুল আজাদ (২৫), পিতা- মৃত আব্দুল জলিল এবং ২। মোঃ মানিক (২০), পিতা- মৃত মীর হোসেন, উভয় সাং- উত্তর যশপুর, থানা- ছাগলনাইয়া, জেলা- ফেনীদের আটক করে।

পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীদের দেখানোমতে নিজ হেফাজতে থাকা দুইটি বস্তা তল্লাশি করে ৯.৮ কেজি গাঁজা এবং ১২ বোতল বিদেশী মদ উদ্ধারসহ আসামীদের গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ০১ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা।

উল্লেখিত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে পরবর্তীতে তা চট্টগ্রাম,ফেনীসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের নিকট বিক্রয় করে আসছে।গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত আলামত সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে ফেনী জেলার ও চট্টগ্রামের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!