দেশের ক্ষতি করে কাউকে টার্মিনাল দেওয়া হবে না-নৌ উপদেষ্টা।

0 ৩০০,০০৪

দেশের ক্ষতি করে কাউকে বন্দরের কোনো টার্মিনাল দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন।তিনি জানান,লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ ও পরিচালনা নিয়ে নেদারল্যান্ডসের এপিএম টার্মিনালসের সঙ্গে আলোচনা বা ‘নেগোসিয়েশন’ চলছে।

সোমবার(১০ নভেম্বর)সকালে নগরের পতেঙ্গায় লালদিয়া চর কনটেইনার ইয়ার্ড উদ্বোধনের সময় উপদেষ্টা সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন বলেন,বৈঠক হচ্ছে। তারা(এপিএম টার্মিনালস)যেটা চাইছে,আমরা তা মানিনি।প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগে তা বলা যাচ্ছে না। তবে দেশের ক্ষতি করে কাউকে বন্দরের কোনো টার্মিনাল দেওয়া হবে না।

এ সময় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব নুরুন্নাহার চৌধুরী,চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বন্দরের যে চারটি টার্মিনাল বিদেশি অপারেটরের হাতে ছেড়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে,লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল তার একটি।বর্তমানে লালদিয়ার চরে কোনো অবকাঠামো নেই।বিদেশি প্রতিষ্ঠান এখানে বিনিয়োগ করে টার্মিনাল নির্মাণ ও পরিচালনা করবে।টার্মিনাল পরিচালনার সময় যে মাশুল আদায় হবে,তার কত অংশ বন্দর পাবে এবং কত অংশ বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান পাবে,তা নিয়েই এখন দর–কষাকষি চলছে।

উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন বলেন,আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যেতে হলে বন্দরের দক্ষতা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিতে হবে।এ জন্য প্রযুক্তি দরকার,বিনিয়োগ দরকার। বাংলাদেশে বড় বড় খাতে খুব কম বিনিয়োগ হয়েছে। তবে বন্দর সম্প্রসারণ ঘিরে চার থেকে পাঁচ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

লালদিয়া কনটেইনার ইয়ার্ড ছাড়াও উপদেষ্টা এদিন বে টার্মিনাল এলাকায় পরিবহন টার্মিনাল এবং তালতলা কনটেইনার ইয়ার্ড(ইস্ট কলোনি সংলগ্ন)উদ্বোধন করেন।এ ছাড়া তিনি বন্দরের এক্স ওয়াই শেড ও কাস্টমস অকশন শেড পরিদর্শন করেন।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!