হালিশহর থানার উপপরিদর্শক(এসআই)সতেজ বড়ুয়া জানান,গত শনিবার হালিশহর থানাধীন থানাধীন শিশু পল্লি জামে মসজিদ এলাকায় একটি ভবনের ভাড়া বাসায় স্ত্রীকে খুনের পর জামিন নিজ এলাকা কিশোরগঞ্জে আত্মগোপনে থাকেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তথ্য পেয়ে পরে পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।জামিনকে গ্রেপ্তারের পর এই খুনের সঙ্গে মোস্তফার সম্পৃক্ততার বিষয়ে তথ্য পাওয়া যায়।পরে গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি)হালিশহর এলাকা থেকে মোস্তফাকে গ্রেপ্তার করে।মোস্তফা নিহত রাবেয়ার ছোট বোনের স্বামী।তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পারিবারিক কলহের জেরে রাবেয়াকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
সতেজ বড়ুয়া আরও বলেন,আসামিদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী খুনে ব্যবহৃত ছুরিটি পরে নগরীর হালিশহরে খালপাড় এলাকায় একটি নালা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।খুনের পর ছুরিটি ওই নালায় ফেলে দিয়েছিল মোস্তফা।
নিহতের স্বামী জামিন পুলিশকে জানায়,রাবেয়ার আগেও দুটি বিয়ে হয়েছিল।ওই ঘরের সন্তান রয়েছে।১১ মাস আগে তাঁর সঙ্গে রাবেয়ার বিয়ে হয়।এরপর তাঁরা হালিশহরে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।রাবেয়া সেখানে রাস্তার ধারে একটি দোকানে পিঠা বিক্রি করতেন।এটা তিনি পছন্দ করতেন না।মাঝে মাঝে গভীর রাত করে বাসায় ফিরতেন। এসবসহ পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকত।পরে পরিকল্পনা করে মোস্তফাকে সঙ্গে নিয়ে স্ত্রীকে খুন করে পালিয়ে যায় জামিন।