নৌকা প্রতীক ছাড়া নির্বাচন,তবে মাঠে আছে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ

0 ৮৫

লায়ন রাকেশ কুমার ঘোষ: আগামী ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নেই।মানুষের চাহিদার কথা বিবেচনা করে অবাধ,সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য এই ৫ ইউনিয়নে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দেয়নি আওয়ামী লীগ।সম্প্রতি ভার্চুয়ালি সভায় যোগ দিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন,জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে-এই আশায় নির্বাচনে বেশ কয়েকজন বিএনপি নেতাও চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হন।

সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা নিজ গ্রাম, এলাকা ও গোষ্ঠীকে প্রাধান্য দিয়ে ভোটের মাঠে নেমেছেন।তবে মন্ত্রীর ঘোষণাকে পাশ কাটিয়ে উপজেলার চারটি ইউনিয়নে চারজন প্রার্থীকে সমর্থন দেয় উপজেলা যুবলীগ ও উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।দলীয় কর্মসূচির নামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে চার ইউনিয়নের চারজন চেয়ারম্যান প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ।ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সমর্থন পাওয়া চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন-উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের মো. জালাল উদ্দিন,উত্তর ইউনিয়নের মো. শাহজাহান, মোগড়া ইউনিয়নের এম এ মতিন ও মনিয়ন্দ ইউনিয়নে মো. লুৎফুর রহমান।তবে ধরখার ইউনিয়নে এখনো কারও পক্ষে মাঠে নামেনি দলীয় নেতাকর্মীরা।

আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না দেয়া সত্ত্বেও একজন প্রার্থী পোস্টারে ‘জয় বাংলা’ ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ ও আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করেছেন। একাধিক প্রার্থী কৌশলে নিজেকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে ভোটারদের কাছে পরিচয় দিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন।পোস্টারে দলীয় শ্লোগান ও আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করায় ইউনিয়নের উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া স্বপনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।সমর্থকদের মধ্যে জিলাপি বিতরণের অভিযোগে উত্তর ইউনিয়নে যুবলীগের সমর্থন পাওয়া চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. শাহজাহানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

গত সোমবার রাতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কিশোর কুমার দাস এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।দলীয় নেতাকর্মীরা জানান, নির্বাচনে নৌকা প্রতীক না থাকলেও নির্বাচনী মাঠে রাজনীতির উত্তাপ ছড়িয়ে দেওয়ার কাজটা শুরু করেছে যুবলীগ।প্রথমে তারা উপজেলা যুবলীগের সদস্য ও দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জালাল উদ্দিনকে সমর্থন দেন।একইভাবে ছাত্রলীগের কর্মী সমাবেশের নামে উপজেলার উত্তর ইউনিয়নে মো. শাহজাহানকে সমর্থন দেয় যুবলীগ।

মোগড়া ইউনিয়নের উমেদপুরে বঙ্গবন্ধু পরিষদের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় মোগড়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে এম এ মতিনকে সমর্থন দেয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ।উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নে মো. লুৎফুর রহমানকে সমর্থন দিয়েছে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আব্দুল মমিন বাবুল বলেন,দক্ষিণ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে জালাল উদ্দিনকে সমর্থন দেওয়া হয়েছে। কারণ তিনি উপজেলা যুবলীগের একজন সক্রিয় সদস্য।

উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে সমর্থন দেওয়া মো. শাহজাহান দলের একনিষ্ঠ কর্মী।নির্বাচনে যেহেতু নৌকা প্রতীক নেই।সমর্থন দেওয়াতো দোষের কিছু না।মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন বলেন, নির্বাচনে নৌকা প্রতীক না থাকার পরও কোনো প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে যুবলীগ-ছাত্রলীগ বির্তকের সৃষ্টি করেছেন।উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মো. জয়নাল আবেদীন বলেন,ভোটে নৌকা প্রতীক না থাকায় দলীয় কাউকে সমর্থন দেওয়াটা আইনমন্ত্রীর দেওয়া সিদ্ধান্তের সাথে সাংঘর্ষিক।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!