পূজাকে সামনে রেখে মায়ের প্রতিমাকে ফুটিয়ে তুলতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা।

0 ২২৮

সবুজ সাহা লক্ষ্মীপুরঃ শরৎ মানে শারদীয় দুর্গা মায়ের আগমনী বার্তা। শারদীয় দুর্গোৎসব সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবথেকে বড় উৎসব। আসন্ন এই দুর্গা উৎসবকে সামনে রেখে প্রত্যেক মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।প্রতিবারের ন্যায় এবারও লক্ষ্মীপুরে ৭৬ টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।

পূজাকে সামনে রেখে প্রতিমা শিল্পীরা তাদের রং তুলির দিয়ে দুর্গা মাকে এক নতুন আঙ্গিকে সাজানোর কাজে ব্যাস্ত সময় পার করছে।লক্ষ্মীপুর রামগতি উপজেলার পূজা মন্ডপও তার ব্যতিক্রম নয়।বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করে দেখেছি সেখানেও চলছে মাকে সাজানোর শেষ মুহূর্তের কাজ।


আসন্ন দূর্গা পূজা সম্পর্কে কমিটিদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন,এবারও যথাযথ উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে দুর্গা মায়ের পূজা অনুষ্ঠিত হবে কিন্তু গত কয়েক বছরের তুলনায় একটু অন্য আঙ্গিকে।


এবারের দূর্গা মায়ের পূজা মানুষের মাঝে মানুষের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং সরকারি যাবতীয় নির্দেশনা মেনেই সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রেখে সম্পন্ন করতে চাই। এবারের দূর্গা পূজায় কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এবং বিশৃংখলা যাতে না হয় সেই জন্য কমিটিরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এবং সাধারণ জনগনের সহযোগীতা আশা করেন।

মৃৎশিল্পীরা জানান এবছর করোনা এবং বৈশ্বিক মহামারির কারণে সরকার কতৃক শারদীয় উৎসব পালনের সিদ্ধান্ত দেরিতে দেওয়ায়,স্বল্প সময়ের মধ্য এতগুলা প্রতিমার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে হিমশিম খাচ্ছে তারা।তবুও দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে,রাতের ঘুম হারাম করে এবং শৈল্পিক নৈপুণ্য দিয়ে তারা তৈরি করে যাচ্ছেন দূর্গার মায়ের প্রতিমা।

রামগতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল মোমিন জানাই রামগতি উপজেলা প্রশাসন পূজা প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।এই বছর রামগতি উপজেলায় ১১ টি মন্ডপে দূর্গাপূজা হবে।দুর্গাপূজা উপলক্ষে আমাদের প্রশাসন থেকে দু’জন পুলিশ এবং আনসার সদস্য থাকবে প্রতি মন্ডপে,সরকার কর্তৃক বরাদ্দ যা দেওয়া হয়েছে আমরা কমিটিদের হাতে পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছি।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!