ভারতের কলকাতা শহরে আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক আড্ডা ও কবিপক্ষ উদযাপনে খ্যাতিমান কবি,লেখক,সঙ্গীত,নৃত্য ও বাচিক শিল্পীদের মিলন মেলা।

0 ৫০৬,৬১০

‘বন্দ্যোপাধ্যায় সাংস্কৃতিক পরিষদ’ কলকাতার উদ্যোগে আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক আড্ডা ও কবিপক্ষ উদযাপন হয়েছে ৭ মে রবিবার বিকাল ৩টে থেকে।বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ এবং কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিবস উপলক্ষে ভারত ও বাংলাদেশের শিল্প-সাহিত্য – সংস্কৃতি অঙ্গনের আমন্ত্রিত গুণীজনদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে উক্ত অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটি সংস্থার কলকাতা কার্যালয় ১৯ বনমালী নস্কর রোড এর প্রতীক্ষা ভবনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। এরপর আয়োজক প্রতিষ্ঠানের কর্নধার কবি ও লেখক দীপক বন্দােপাধ্যায় তাদের সংস্থা এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে তাদের আন্তর্জাতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। তারপর বাংলাদেশের আমন্ত্রিত লেখক ও সমাজ সেবক আসাদুজ্জামান জুয়েল এবং কবি ও সাংবাদিক বাদল রায় স্বাধীনকে ফুলের তোড়া দিয়ে এবং ব্যাজ ও উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। এরপর বিষয় ভিত্তিক আলোচনা,গান,নৃত্য, আবৃত্তি ও স্ব-রচিত কবিতা পাঠে মেতে উঠলেন অনেক প্রতিষ্ঠিত কবি, লেখক, বাচিক ও সঙ্গীত শিল্পীরা ।

বিষয় ভিত্তিক আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশের দুই প্রতিনিধি। আলোচনার বিষয় ছিলো “বিশ্ব সাহিত্যের বিস্ময় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চায় সন্দ্বীপ।

পরবর্তীতে যে সব খ্যাতনামা কবি, লেখক, সঙ্গীত শিল্লী, বাচিক ও নৃত্য শিল্পী তাদের প্রতিভা দিয়ে অনুষ্ঠানকে প্রানবন্ত ও আনন্দ মুখর করে তোলেন তারা হলেন সুধাংশু রঞ্জন সাহা, রেখা রায়,উজ্জ্বল চট্টােপাধ্যায়, ব্রজেন্দ্র নাথ ধর,রাজদীপ পুরী,শিপ্রা সাধক,সুস্মিতা দাস চৌধুরী, রাজদীপ মজুমদার, মৌসুমী সরকার, মৌসুমী আদক,প্রশান্ত সরকার, উর্বী বন্দ্যোপাধ্যায়, ডক্টর রতন ঘোষ সহ আরও অনেকে।অনুষ্ঠানের মিডিয়া পার্টনার ছিলে হ্যালো টেস্টিং ও বার্তা এখন।

অনুষ্ঠানে আগত গুনীজনরা বাংলাদেশের সাহিত্য চর্চা,সাহিত্যা ও সংস্কৃতি অঙ্গন সহ সকল বাংলাদেশীদের অতিথি পরায়নতা ও আন্তরিক মনোভাবের কথা তুলে ধরে ভূয়সী প্রশংসা করেন।সর্বোপরি এই অনুষ্ঠানটি দুই বাংলার সাহিত্যােমোদীদের মাঝে নতুন এক সেতুবন্ধন গড়ে তূলেছে। যে সম্পর্কের রেশ ধরে দুই বাংলায় এমন অনেক সাহিত্য উৎসবের সুচনা ঘটলো বলে সবাই মতামত ব্যক্ত করেন।

সবশেষে দেশ কালের সীমানা ছাড়িয়ে জাতি ধর্ম ও ভাষা নির্বিশেষে মানুষের হৃদয়ের শুভ সত্তা জাগিয়ে তোলা ছাড়াও অন্তরাল থেকে তরুণ প্রতিভাকে সামনে তুলে আনার কাজ আরও দৃঢ়ভাবে করার কথা শোনান ‘বন্দ্যোপাধ্যায় সাংস্কৃতিক পরিষদ’ এর কর্ণধার দীপক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সহযোগী শিক্ষিকা মুন মুন বন্দ্যোপাধ্যায়।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!