মতলব উত্তরে ঘুর্নিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি

0 ১০০

মতলব চাঁদপুর প্রতিনিধি, ঘুর্নিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে সারা দেশে গত ৫ ডিসেম্ব হতে এ পর্যন্ত বৈরী আবহাওয়া ও লাগাতার বৃষ্টি। এ ছাড়া চাঁদপুর জেলার প্রত্যেক উপজেলায় একই অবস্থা। সরজমিন ও বিভিন্ন সূত্রে জানতে পারলাম চাঁদপুরের মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলায় কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সদ্য রোপা আলু, ভূট্রা, সরিষা, মরিচ সহ শীত কালীন শাক সবজি ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশী লক্ষ্য করা গেছে। এ সময় টা কৃষি কাজ ও কৃষকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও উপযোগী। অধিকাংশ কৃষক খেতে বীজ বুনে ফেলেছে। বাকী কৃষকরা ও ফসল করার জন্য তৈরী হয়ে বসে আছে। বেশী ক্ষতির সম্ভাবনা আলু চাষীদের। দেখা গেছে, প্রত্যেক বছর এ সময়টা আসলে একটানা একটা প্রাকৃতিক দূর্যোগ নেমে আসে। এতে করে কৃষক কৃষাণীদের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয় ও বছরের পর বছর কৃষকের লোকশান গুনতে হয়। একে বারে যেন কৃষকের মাথায় হাত। আরেকটি ব্যাপার লক্ষ্য করা গেছে, মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের ভিতর এখন পাকা ধানের সমাহার। ধান কাটা শুরু মাত্র। গত ২/৩ দিনের টানা বর্ষনে নীচু জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় এবং অধিকাংশ কৃষকের ধান হেলে পরে যায়। এতে করে ধান ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশী। আরেকটি ব্যাপার লক্ষ্য করা গেছে, এ সময়ে এমনি করে বৃষ্টি পাত হলে জ্বালানি ও গরুর গো- খাদ্যের সংকট হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। শুধু তাই নয়,নদীতে ও পানি বৃদ্ধি। বাধেঁর বাহিরের এলাকার সদ্য রোপা আলু,মরিচ, ভুট্টা ও সরিষা ক্ষেত জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে, উপজেলার সিপাই কান্দি ও মাইজ কান্দি এলাকায় ঘুরে দেখা যায় জোয়ারের পানিতে সদ্য বুনা ফসল তলিয়ে যায়। এতে করে কৃষক কৃষাণীদের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়। প্রাকৃতিক দূর্যোগের এ ক্ষতি কৃষক কৃষাণীদের কোন দিনই পুষিয়ে আনা সম্ভব হবে না,এখন কৃষকরা শুধু আল্লাহর উপর ভরসা রাখছে। ক্ষতি গ্রস্ত কৃষক কৃষাণীদের প্রতি দৃষ্টি দেওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, কৃষি মন্ত্রী, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী, চাঁদপুর ২- আসনের সাংসদ সদস্য ও উর্ধতন কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!