চট্টগ্রাম রাজনীতির দল বদলের সস্তার খোলা বাজারে অনেকেই গা ভাসালেও,ছাত্রজীবনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতির মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাজপথে রাজনীতির যাত্রা শুরু করে নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অন্যতম সহযোগী সংগঠন যুবলীগের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন মনোয়ার আলম নোবেল।

তিনি রাজনীতিতে অনেক আন্দোলনের সফল এক মহানায়ক।এক বিপ্লবী,সংগ্ৰামী ব্যক্তিত্ব এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোষহীন জননেতা।চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠন এর নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষের কাছে পরিচ্ছন্ন,বিশ্বাসী,পরীক্ষিত,নিবেদিত ও পরিশ্রমী নেতা হিসেবে পরিচিত মনোয়ার আলম নোবেল।

তার পিতা মরহুম ভাষা সৈনিক বদিউল আলম চৌধুরী ছিলেন ভাষা সৈনিক,রাজনীতিবিদ,শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং হোসেন শহীদ সোহরোওয়ার্দির সাথে একসাথে রাজনীতি করেছেন বদিউল আলম চৌধুরী।

ভাষা আন্দোলনের গবেষণাকেন্দ্র ও জাদুঘর,ঢাকা হতে প্রকাশিত ভাষা সংগ্রামের স্মৃতি বইটিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ বাংলাদেশের যে ১০৭ জন ভাষা সৈনিকের স্মৃতিচারণ প্রকাশিত হয়েছে সেখানে ও মরহুম বদিউল আলম চৌধুরী একজন।

জানা যায়,দীর্ঘ করোনায় দুই বছর দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা যখন টালমাটাল তখন তিনি ছাত্রলীগ ও যুবলীগের একঝাক তরুণদের সাথে নিয়ে গরিব,অসহায় ও দুস্থদের পাশে অর্থ,খাদ্য,অক্সিজেন সেবা নিয়ে সারাক্ষণ সেবা করে গেছেন।করোনাকালীন সময়ে প্রথম সারির যোদ্ধা হিসেবে নেতৃত্ব দিয়েছেন মানুষের কষ্ট লাঘব ও করোনার বিস্তার রোধের জন্য।

এছাড়াও রমজান মাসে প্রতিদিন রোজাদারকে রান্না করা ইফতার দিচ্ছেন যুবলীগের এই পরিশ্রমী নেতা।ধর্ম বর্ণ ও সাম্প্রদায়িকতা ভুলে সকল মসজিদ,মাদ্রাসা,এতিমখানাসহ সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সহায়তা করছেন প্রতিনিয়ত।এছাড়া অসহায় সাধারণ মানুষ ও মধ্যবিত্তদের মাঝে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের ত্রাণ সামগ্রী,বস্র ও নগদ অর্থ দিচ্ছেন এই নেতা।

সম্প্রতি যুব সংগঠক নোবেলের বিরুদ্ধে অনলাইনে যে নিউজ প্রকাশিত হয়েছে সেগুলোর সম্পূর্ণ বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।এ ব্যাপারে আওয়ামীলীগ,তার সহযোগী সংগঠন এর নেতাকর্মী ও জনগণরা নানান প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

মনোয়ার আলম নোবেল সম্পর্কে সাধারণ জনগণ বলেন,অসহায় হতদরিদ্র মানুষের সমস্যার কথা তিনি খুব সহজেই বুঝতে পারেন।কারণে-অকারণে সব সময় আমাদের কাছে ছুটে আসেন,এলাকার মানুষের কোনো সমস্যা,দুর্ঘটনা,বিপদ-আপদের কথা শুনলেই তিনি ছুটে এসে ওইসব মানুষের পাশে দাঁড়ান।তার মুখে কেউ কখনও বিরক্তি বা রাগের কোনো লক্ষণ দেখেননি,বরং তিনি সব সময় হাসিমুখে মানবসেবায় সাহায্য সহযোগিতা করেন।এসব কারণে এ মানুষের কাছে ভালবাসার এবং ভরসাস্থলে পরিণত হয়েছেন নোবেল।

আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা বলেন,রাজনৈতিক অঙ্গনের সেই অত্যন্ত সৎ,সাহসী,পরোপকারী হাসি উজ্জ্বল,একজন সু-সংগঠক ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার একজন ন্যায়,নীতি ও আদর্শবান সক্রিয় কর্মী।তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে এ ধরনের কাল্পনিক ও ভিত্তিহীন সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।

চাঁদাবাজির নামে নোবেলের বিরুদ্ধে একটি অনলাইন মাধ্যমে যে নিউজ প্রকাশিত হয় সেটি সম্পূর্ণ বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেন আন্তঃ জেলা বাস মালিক সমিতির লাইন সম্পাদক মোহাম্মদ আবুল বশর ও আন্তঃ জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন চৌধুরী।

আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামীলীগ নেতা অশোক দাশ বলেন,নোবেলসহ এ ধরনের ত্যাগী,পরিশ্রমী,অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোষহীন আওয়ামী কর্মীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে এ ধরনের কাল্পনিক ও ভিত্তিহীন সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।আমাদের সকলের উচিত এই ধরনের ত্যাগী পরিশ্রমী আওয়ামী কর্মীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার না করে তাদের কাজকে মূল্যায়ন করে উৎসাহিত করা এবং তাদেরকে যথাযোগ্য ভাবে মূল্যায়ন করা।নানান ধরনের অপপ্রচার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে করে বেড়াচ্ছে অপপ্রচারকারীরা।কাজেই এই বিষয়ে আমাদের সকলকেই সতর্ক থাকতে হবে।যেন মানুষ বিভ্রান্ত না হয়।

মনোয়ার আলম নোবেল বলেন,ছাত্রজীবনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন।ছাত্রজীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা পেয়েছি।সেই আদর্শ বুকে নিয়ে রাজনীতি করছি।দেশকে,দেশের মানুষকে ভালবেসেছি।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৈনিক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি আরো বলেন,আমার বিরুদ্ধে যতই অপপ্রচার হোক না কেন আমি সামনের দিকে এগিয়ে যাব।আমি সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে চাই।সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করা আমার নেশা।আমার বিরুদ্ধে যে যে অপপ্রচারগুলো হচ্ছে তা নিয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানান একই সাথে সবার দোয়া ও ভালবাসা কামনা করেন।