লক্ষ্মীপুরে ছোট ভাইয়ের হাতে মেজ ভাই খুন।

0 ৬৮৮,০৪৭

লক্ষ্মীপুরের পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মেঝো ভাই তোফায়েল আহম্মদকে(৬০)দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে ছোট ভাই হোসেন আহম্মদ(৫৫)।গতকাল বুধবার(৩০শে নভেম্বর)রাত সাড়ে ৮টার দিকে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ড়ের লাহারকান্দি গ্রামের দমদমা দিঘিরপাড়ে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত হোসেন আহম্মেদকে আটক করেছে।নিহত তোফায়েল ও অভিযুক্ত হোসেন আজিজ উল্যা দফাদার বাড়ির মৃত মমতাজুর রহমানের ছেলে।

অভিযুক্তকারি হোসেন আহম্মেদ তিনি ঐ ওয়ার্ড়ের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক বলে জানা যায় এবং তোফায়েল আহম্মদ ঢাকায় ব্যবসা করতেন।

তোফায়েল আহম্মদ ঢাকায় ব্যবসা করার সুবাধে স্ত্রী সহ দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে সেখানেই থাকতেন।তবে ব্যবসায় লোকসান হওয়ায় তিনি মানসিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন।তিনি মাঝে মধ্যে গ্রামের বাড়িতে এসে ভাইদের কাছ থেকে পৈত্রিক সম্পত্তি দাবি করতেন।এতে দীর্ঘদিন থেকে ছোট ভাই হোসেন আহম্মদের সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয়।এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায় ঝগড়া হতো।

বুধবার সকালবেলা ছোট ভাই হোসেন আহম্মদের স্ত্রী জেসমিন বেগমের সঙ্গে ঝগড়া করেন তোফায়েল।সন্ধ্যায় হোসেন আহম্মদ বাড়িতে এলে স্ত্রী জেসমিন তার কাছে মেঝো ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন।

সন্ধ্যায় তোফায়েল বাড়ির পাশের দমদমা দিঘিরপাড় জামে মসজিদ মাগরিবের নামাজ ও রাতে এশার নামাজ আদায় করে মসজিদের পাশের একটি চা দোকানে বসে ছিলেন।

স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ায় জের ধরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে হোসেন আহম্মদ পুনারায় ঝগড়া শুরু করেন।এক পর্যায়ে দা দিয়ে তোফায়েলের দু’পায়ে আঘাত করেন হোসেন আহম্মদ।স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।রাত ১১টা পর্যন্ত নিহতের মরদেহ ঘটনাস্থলেই ছিল।পুলিশ মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন বলেন,নিহত তোফায়েলের দুই পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ বলেন,ছোট ভাইয়ের হাতে মেঝো ভাই খুন হয়েছে।খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে এসে ঘাতক হোসেন আহম্মদকে আটক করে।তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এবং হত্যকাণ্ডের ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হসপিটাল রাখা হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!