সন্দ্বীপে মোটরসাইকেল এক্সিডেন্টের জন্য দায়ী দূর্বল প্রশাসনিক ব্যবস্থা।

0 ১৯৪

রিয়াদুল মামুন সোহাগঃ চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলায় মোটরসাইকেল এক্সিডেন্টের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী দূর্বল প্রশাসনিক ব্যবস্থা।এছাড়াও আরো দায়ী মানুষের অসচেতনতা।ভাড়ায় চালিত ও ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল সবমিলিয়ে চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলায় আনুমানিক ২০,০০০(বিশ হাজার) মোটরসাইকেল আছে।কিন্তু ৫০০(পাঁচ শত) মোটরসাইকেলের কাগজপত্র ঠিক আছে কিনা সন্দেহ। মোটরসাইকেল এক্সিডেন্টেের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রশাসনিক ব্যবস্থা এই জন্যই দায়ী,সন্দ্বীপে মোটরসাইকেল চালকের কাছে কোন প্রকার কাগজপত্র ঠিক আছে কিনা প্রশাসন চেক করেন না।উল্টো মোটরসাইকেল চালানোর জন্য সন্দ্বীপ থানায় টোকেন ব্যবস্থাও আছে যেটা করোনা কালীন বন্ধ আছে বলে চালকদের দাবি। প্রশাসন যদি মোটরসাইকেলের বৈধ কাগজপত্র চেক করতো,চালকের লাইসেন্স আছে কিনা,গাড়ির ফিটনেস ঠিক আছে কিনা এগুলো চেক করতো তাহলে ২০,০০০(বিশ হাজার) তো দূরের কথা সারা সন্দ্বীপে ৫,০০০(পাঁচ হাজার) মোটরসাইকেল খুঁজে পাওয়া যেতো না।তাহলে এক্সিডেন্টের সংখ্যাও কম হতো। অন্যদিকে সন্দ্বীপের প্রায় প্রত্যেকটি বাড়িতে অথবা ঘরে অন্তত একজন হলেও বিদেশে থাকে।বাবা,বড় ভাই,বড় বোনের জামাই,ছোট বোনের জামাই,মামাদের অনুরোধ করেন একটা মোটরসাইকেলের জন্য কিন্তু একবারও তাদের পরিবারের লোক চিন্তা করেন না আমাদের ছেলের মোটরসাইকেল চালানোর বয়স হয়েছে কিনা,গাড়ির কাগজপত্র করা লাগবে কিনা,ছেলের ড্রাইভিং লাইসেন্স লাগবে কিনা।যার ফলে এখন কম বয়সী ছেলেরাই মোটরসাইকেল চালায় বেশি আর এক্সিডেন্টও হয় বেশি। পরিবারের লোকজন মোটরসাইকেল কিনে দেওয়ায় আগে ছেলের ড্রাইভিং লাইসেন্স করলে,গাড়ির কাগজপত্র সহ গাড়ি কিনলে এবং তার ছেলে মোটরসাইকেল চালানোর উপযুক্ত করে মোটরসাইকেল কিনে দিলে এক্সিডেন্টের সংখ্যা কমে যাবে।নিজের সাইড চিনে না,গাড়ি কোন রাস্তায় কত গতিসীমায় চালাতে হবে সেটা জানে না এইসব লোক মোটরসাইকেল চালানোর জন্য রাস্তায় নামে বলেই এক্সিডেন্ট হয়। মোটরসাইকেল এক্সিডেন্ট কমানোর জন্য সন্দ্বীপ পুলিশ প্রশাসনের উচিত গাড়ির এবং চালকের বৈধ কাগজপত্র আছে কিনা চেক করা।যেইসব মোটরসাইকেলের লাইসেন্স নেই অথবা চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই সেই সকল মোটরসাইকেল বন্ধ করে দিলে একদিকে মোটরসাইকেলের সংখ্যা কমে যাবে অন্য দিকে এক্সিডেন্টের সংখ্যাও কমে যাবে।তাই পুলিশ প্রশাসনের উচিত মোটরসাইকেলের এক্সিডেন্ট কমাতে এইসব পদক্ষেপ গ্রহণ করা। অন্যদিকে পরিবারের কর্তাদের উচিত নিজের ছেলেকে অথবা ভাইকে মোটরসাইকেল কিনে দেওয়ায় আগে তার ড্রাইভিং লাইসেন্স বের করা এবং গাড়ির বৈধ কাগজপত্র চেক করে মোটরসাইকেল কিনা।অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলেদের কে মোটরসাইকেল কিনে না দেওয়ায় হবে পরিবারের সচেতনতা। ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল গুলো বন্ধ করে দিলে আরো ভালো তাহলে মোটরসাইকেলের সংখ্যা আরো কমে যাবে।এইসব বিষয়ে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া এখন সময়ের দাবি।না মোটরসাইকেল এক্সিডেন্ট ভবিষ্যতে আরো বেড়ে যাবে।একদিকে রাস্তা তেমন চওড়া না অন্য দিকে গাড়ির সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!