সন্দ্বীপে স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে,স্বামী কর্তৃক শারিরীক,মানষিক নির্যাতন ও ভরন পোষন না দেওয়ার অভিযোগে সংবাদ সন্মেলন।

0 ১৯৬

রিয়াদুল মামুন সোহাগঃ সন্দ্বীপে মিজানুর রহমান নামে পাষন্ড এক স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে,স্বামী কর্তৃক শারিরীক ও মানষিক নির্যাতন এবং ভরন পোষন না দেওয়ার অভিযোগে সংবাদ সন্মেলন করেছে তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম।

অভিযুক্ত স্বামী মিজানুর রহমান পিতা সিরাজুল মাওলা সন্দ্বীপ পৌরসভা ৫ নং ওয়ার্ডের নুর আহাম্মদ মাষ্টারের বাড়ির বাসিন্দা ও পিডিবির এলপিআর ভুক্ত তড়িৎবিদ সি।

১৩ জুন সন্দ্বীপ প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সন্মেলনে রোকেয়া বেগম বলেন আমার স্বামীর চাকুরী এবং বৈবাহিক সূত্রে বর্তমানে চট্টগ্রামে পিডিবির কোয়াটারে থাকি।বর্তমানে আমার স্বামীর দ্বারা প্রতারিত, নির্যাতিত ও বঞ্চনার স্বীকার হয়ে আমার স্বামী মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি। আমার স্বামী মিজানুর রহমানের সহিত প্রায় ৩৬ বছর যাবৎ সংসার জীবন অতিবাহিত করেছি। আমাদের সংসারে দুই ছেলে ও এক মেয়ে বর্তমানে আছে, সংসার জীবনের শুরু থেকেই আমার স্বামীর সাথে শান্তিপূর্ণ অবস্থান ছিল না। তবুও সন্তানদের কথা চিন্তা করে অনেক অবহেলা, নির্যাতন, অবজ্ঞা সহ্য করে প্রায় ৩৭টি বছর অতিবাহিত করেছি। সংসার চলাকালীন সে আমার দৈনন্দিন ভরণ-পোষণ ও সন্তানদের দায়িত্ব-কর্তব্য কোনটাই সঠিকভাবে পালন করে নাই। সংসার চলাকালীন বেতনের টাকা পয়সা কোথায় কিভাবে খরচ করতো স্ত্রী হিসেবে সেটাও আমাকেও জানাতো না। জানতে চাইলেও নানাভাবে এড়িয়ে চলত এবং ঝগড়া করত। সংসার চলাকালীন সে নানাভাবে আমাকে অত্যাচার করত এবং মানসিক চাপে রাখতো। পর্যায়ক্রমে তার অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলস্বরুপ মার্চ ২০২০ থেকে এই পর্যন্ত তিনি আমার সাথে সর্বপ্রকার যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। ফোন করলে রিসিভ করে না, আবার মোবাইল বন্ধ করে রাখেন। এত কিছুর পরও একজন ইসলাম প্রিয় এবং শান্তি প্রিয় নারী হিসেবে সংসার ছেড়ে যায়নি। কিন্তু তিনি আমার সাথে সংসার জীবন অতিবাহিত না করে অন্যত্র বসবাস করা শুরু করেন। এমনকি বিগত করোনাকালীন সময়েও তিনি আমার খোঁজ-খবর রাখেননি। পরে আমি নিজ উদ্যোগে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি তিনি আমার অজান্তে অনুমতি না নিয়ে আরেকটি বিয়ে করেছেন এবং এতে সহযোগী হিসেবে আমার রুজি রোজগার হীন বখাটে ছোট ভাই বাহারকে অর্থের লোভে ফেলে ব্যবহার করছেন। এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে সুফিয়ান চেয়ারম্যানের ছেলে হানিফ, বোরহান মেম্বারের ছেলে জাবেদ সহ আমায় হেনস্থা,খারাপ আচরন ও নির্যাতন করে।সেই চক্রের সাথে শামসুল হক মাষ্টারের ছেলে বোরহান এবং আমার প্রতিবেশী এমলাকও জড়িত রয়েছে। তারা আমার প্রতি এতই নির্যাতন করে যে, আমার চাচা ও চাচী না থাকলে আমাকে ঐ রাতে মেরেই ফেলতো।সেদিন আমাদের কালাপানিয়ার চেয়ারম্যান আলিমুর রাজী টিটু এসে আমাকে শেষ রক্ষা করে। পরে আমার মেয়ের জামাই আমার আত্মীয়-স্বজনদের ফোন করে বলে যে, আমার শাশুড়ি বাসায় একা, আমার শাশুড়িকে বাসায় নিয়ে যান এবং আপনারা সবাই একসাথে বসে সমস্যাটার সমাধান করেন। কিন্তু তারা কেউ আমার মেয়ের জামাই এর কথার মূল্যায়ন করেনি। পরে এ সমস্ত ঘটনার প্রতিকার চেয়ে আমি গত ১৪-৯-২০২০ ইং পিডিবি চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবরে একটি অভিযোগ এবং ১৩ ডিসেম্বর হালিশহর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি যার জিডি নং ৫৭০/১৩/১২/২০২০। কিন্তু তার টাকার কাছে আমি বার বার হেরে যাই।

বর্তমানে আমি ব্রেষ্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত এবং নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছি এবং বিভিন্ন জায়গা থেকে সহযোগিতা নিয়ে চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহের চেষ্টা করেও মানবেতর জীবন-যাপন করছি। এবং এ বৃদ্ধ বয়সে একাকী নিঃসঙ্গ জীবন অতিবাহিত করছি।
এমতাবস্থায় যারা আমার প্রতি এমন অন্যায় আচরণ ও নির্যাতন করেছে আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। অন্যদিকে এত নির্যাতনের পরও আমার স্বামীর সাথে সংসার জীবন অতিবাহিত করা সহ শান্তিপ্রিয় অবস্থান চাই।নয়তো আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।

সংবাদ সন্মেলনে ওনার ছোট্ট নাতনি সহ একমাত্র মেয়ে রুমা আক্তার সুমী উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!