সিঁধ চোরের অত্যাচারে অতিষ্ট মদনা গ্রামের মানুষ

0 ৭৯৭,৬২৪

লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন ১৮ নং কুশাখালী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মদনা গ্রামের কারি সাহেবের বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে।

ঘটনাস্থলে গিয়ে যানা যায় যে,রাত প্রায় তিনটার দিকে, আইয়ূব আলীর ঘরের সিঁধ কেটে ঘরে ডুকে নগদ এক লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা ও আট আনা ওজনের একটা চেইন নিয়ে যায়।আইয়ুব আলীর স্ত্রী নাজমুন নাহার টের পেয়ে চোরের জামার কলার চেপে ধরে।চোরের সাথে হাতাহাতির এক পর্যায়ে চোরের হাতের মোবাইল,গামছা ও ক্রিস পড়ে যায় এবং চোর দৌড়ে পালিয়ে যায়।দুঃখের বিষয় হচ্ছে নাজমুন নাহারের চিৎকার শুনেও বাড়ির কেউ সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসেনাই।

নাজমুন নাহার অভিযোগ করে বলেন,তার বাসুরেরা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে কারন তারা বেশ কয়েকবার হুমকি দিয়ে আসছে।এই বাড়িতে আমাদের শান্তিতে থাকতে দিবেনা এবং আমার ছেলেকে কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলবে বলে অভিযোগ করেন নাজমুন নাহার।

এদিকে চোরের মোবাইলে চোরের বউ ফোন করলে নাজমুন নাহারের ছেলে নাজিম ফোন রিসিব করে কৌশলে চোরের ঠিকানা জানতে পারে।চোর একই ওয়ার্ডের হানিফ দফাদারের বাড়ির হাফিজ উল্ল্যাহর ছেলে ওসমান গণী।৫নং ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক বলে যানা যায় ।

এলাকার মানুষের মন্তব্যে জানা যায়,ওসমান পেশাদার চোর,সে আরো অনেক ঘরে সিঁধ কেটে চুরি করেছে।শুধু প্রমাণের অভাবে তাকে ধরতে পারিনা।

এই বিষয়ে নাজমুন নাহার আরো বলেন,এর আগেও তিন বার আমার ঘর চুরি হয়েছে একই রকম ভাবে। আমার স্বামী প্রবাসে থাকে।আমি ছেটো দুইটা বাচ্ছা নিয়ে ঘরে একা থাকি।আগে ধরতে পারি নাই।এবার হাতেনাতে ধরেছি।আমি এলাকার চেয়ারম্যান,মেম্বার এবং গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের জানিয়েছি।

চেয়ারম্যান গ্রাম পুলিশকে নিয়ে চোর ধরার চেষ্টা করে। কিন্তু চোর পালিয়ে গেছে তাই ধরতে পারেনাই।তাই আমি বাধ্য হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানার একটা অভিযোগ দায়ের করছি।যার S D R নং (৬৬২)।

চেয়ারম্যান সালাউদ্দীন মানিক বলেন,আমি চোরকে ধরার চেষ্টা করছি তবে ধরতে পারিনি।চোর পালিয়েছে। তাই নাজমুল নাহারকে থানায় পাটিয়েছি মামলা করার জন্য।মামলা হয়েছে।আমি পুলিশ কে চোর ধরার জন্য সহযোগিতা করবো।চোর যেই হোক চোরের ব্যপারে কোনো আপষ করিনা আমি।

চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ তৌহিদুর রহমান এর সাথে কথা বললে তিনি জানান,আমরা অভিযোগ পেয়েছি,প্রমাণও হাতে পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবো এবং চোরকে ধরবো।এছাড়া তিনি আরো বলেন,পুলিশ জনগনের জান মালের নিরাপত্তা দেওয়াটাই পুলিশের ধর্ম।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!