সিএমপি পাঁচলাইশ থানার অভিযানে ১৬ ভরি স্বর্ণালংকরসহ আটক ৪ জন।

0 ৭০০,০০৩

সিএমপি’র পাঁচলাইশ মডেল থানা পুলিশের অভিযানে চোরাইকৃত ১৬ ভরি ২ আনা ওজনের স্বর্ণালংকার, গলিত স্বর্ণের পাত এবং স্বর্ণ বিক্রয়ের নগদ টাকাসহ ৪ জন আসামী গ্রেফতার।

মামলার বাদী উম্মুল খায়ের আমিন(৫৮)পেশায় একজন গৃহিনী।বাদী এজাহারে বর্ণিত ঠিকানার বাসায় বাদীর মেয়ে নাবিলা আমিন(৩২)সহ স্বপরিবারে বসবাস করে আসছে।আসামী সুমাইয়া বাদীর গৃহপরিচারিকা পারভীন আক্তারের বড় মেয়ে।

আসামীর মা পারভীন আক্তার বাদীর বর্তমান ঠিকানার বাসায় দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ গৃহপরিচারিকার কাজ করছিল।সেই সুবাদে আসামী বাদীর বর্তমান ঠিকানার বাসায় যাতায়াত করত এবং বাদীর মেয়ে নাবিলা আমিন এর সাথে সু-সম্পর্ক গড়ে উঠে।

২১শে আগষ্ট সকাল সাড়ে দশটায় বাদীর বর্তমান ঠিকানার বাসা থেকে চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানাধীন বাদীর শ্বশুর বাড়ীতে যায়।

এসময় বাদীর মেয়ে নাবিলা আমিনকে বর্তমান ঠিকানার বাসায় রেখে যায়।একই তারিখ বিকাল সাড়ে চারটায় বাদী শ্বশুর বাড়ী থেকে বর্তমান ঠিকানার বাসায় এসে দেখতে পায় যে,বাদীর বেড রুমে থাকা আলমারির দরজা খোলা এবং বাদীর পাশের রুম অর্থাৎ বাদীর প্রবাসী ছেলে ইফতেখার আমিন(৩৬)এর বেড রুমের আলমিরার দরজাও খোলা।

পরবর্তীতে বাদী ২টি আলমিরা খোঁজাখুজি করে দেখতে পায় যে,বাদী ও বাদীর ছেলের আলমিরাতে রক্ষিত স্বর্ণের-৬টি গলার নেকলেস যার ওজন ২৫ ভরি, ২টি গলার চেইন যার ওজন-৩ ভরি,১২টি হাতের বালা যার ওজন-১২ ভরি,১২টি আংটি যার ওজন-৪ ভরি ৮ আনা,২০ জোড়া কানের দুল যার ওজন ৫ ভরিসহ সর্বমোট ৪৯ ভরি ৮ আনা স্বর্ণালংকার যার মূল্য অনুমান ৭৪ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা যথাস্থানে নাই।

বাদীর উক্তরূপ এজাহারের প্রেক্ষিতে পাঁচলাইশ মডেল থানার মামলা নং-২৯,তারিখ- ২৭/০৯/২০২৫ খ্রিঃ, ধারা-৩৮০ পেনাল কোড ১৮৬০ রুজু করা হয়।

পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী র্কমর্কতা এসআই(নিরস্ত্র)আশরাফ উদ্দিন সরদার সঙ্গীয় অফসিার র্ফোসসহ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানাধীন চন্ডিবের উত্তর পাড়া,৯নং ওয়ার্ডস্থ ইভা বেগমের বাড়ীতে ৪ঠা অক্টোবর ভোর চারটায় অভিযান পরিচালনা করে এজাহারনামীয় আসামী সুমাইয়া ইয়াসমনি সাথী(১৯) ও তদন্তে প্রাপ্ত আসামী ইভা বগেম(৩২)কে গ্রেফতার করে।পরে আসামীদের দেখানো ও নিজ হাতে বাহির করে দেওয়া চোরাই যাওয়া স্বর্ণের-আংটি ১টি,ছোট বাচ্চার চুড়ি ১টি ও আংক ১টি,স্বর্ণ খচিত পাথরের কানের দুল ১ জোড়া,স্বর্ণ খচিত পুথির মালা ১টি, যাহার সর্বমোট ওজন-১৪ আনা ও স্বর্ণের বিক্রয়ের নগদ ৯০,০০০/-টাকা এবং স্বর্ণ বিক্রয়ের টাকা দিয়ে ক্রয়কৃত ১টি SAMSUNG S23 মডেলের মোবাইল,১টি Iphone 13 মডেলের মোবাইল উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়।

ধৃত আসামী সুমাইয়া ইয়াসমনি সাথী(১৯) ও ইভা বেগম(৩২)দের স্বীকারোক্তি মোতাবেক আসামী হাসনো বেগম(৬৭)কে তার নিজ বাড়ী থেকে গ্রেফতার করে এবং তার হেফাজত হতে স্বর্ণ বিক্রয়ের নগদ ৪,৫০,০০০/-টাকা উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়।

আসামীদের নিয়ে অভিযান পরিচালান করে তাদের দেখানো মতে আসামী শান্তা আক্তার নিলা(২৬)কে তার নিজ বাড়ী তথা নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানাধীন নীলকুঠি এলাকা হতে গ্রেফতার করে এবং তার হেফাজত হতে চোরাই যাওয়া স্বর্ণের-৩টি গলার চেইন, ২ জোড়া কানের দুল,গলার হারের ১টি লকেট,২টি ব্রেসলেট,৩টি আংটি যাহার সর্বমোট ওজন-৩ ভরি ১২ আনা ও স্বর্ণের বিক্রয়ের নগদ ১,০০,০০০/-
টাকা এবং স্বর্ণ বিক্রয়ের টাকা দিয়ে ক্রয়কৃত ১টি SAMSUNG S24 মডেলের মোবাইল,১টি Iphone 13 মডেলের মোবাইল সহ উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়।

পরবর্তীতে “সুদীপ্ত জুয়েলার্স” নামীয় দোকান হতে চোরাইকৃত ১০ ভরি ওজনের ১টি স্বর্ণের গলানো পাত এবং “রতন জুয়েলার্স” নামীয় দোকান হতে চোরাইকৃত ১ ভরি ৮ আনা ওজনের ১টি স্বর্ণের গলানো পাত উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়।

পরর্বতীতে ধৃত আসামীদেরকে যথাযথ পুলিশ পাহারায় বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানা যায়।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!