
সীতাকুণ্ড উপজেলাধীন সোনাইছড়ি ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।
জানাযায়,গত ৪ ডিসেম্বর সকালে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা আবুল খায়ের স্টীল মিল থেকে ৫০০ টন ডাস্ট বের করার সংবাদ জানতে পারে সোনাইছড়ি বিএনপির নেতৃবৃন্দরা।
পরে স্থানীয় এলাকাবাসী ও বিএনপি নেতৃবৃন্দরা সেখানে গিয়ে অবস্থান করে কামরুল নামের একজনকে আটক করে।
কামরুল জানান,ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অর্থায়নে থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কোরবান আলী শাহেদ নামে ডাষ্ট গুলো ডিও করা হয়েছে।পরে এলাকাবাসী ও বিএনপি নেতা কর্মীরা সীতাকুন্ড মডেল থানার এস আই ইদ্রিসের হাতে কামরুলকে হস্তান্তর করে।
সোনাইছড়ি ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মমিনউদ্দিন মিন্টু জানান,কয়েকদিন আগে আমরা জানতে পারি বেশ কয়েকজন আওয়ামীলীগ নেতা আবুল খায়ের স্টীল মিলের সামনে মাল কেনার জন্য জড়ো হয়েছেন।খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে ইদ্রিস নামের একজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিছি আমরা।
আটক ব্যক্তি জানায়,আওয়ামী লীগের হয়ে ৫০০ টন ডাষ্ট ডিও করছেন কোরবান আলী সাহেদ।আওয়ামীলীগের ছত্রছায়ায় এ নেতা প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠান নিয়ে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করছেন। আওয়ামী লীগের নেতাদেরকে নিয়ে প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠানের তার একটি সিন্ডিকেট প্রতিষ্ঠা করেছে।তার এসবের অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে সে প্রাণ নাসের হুমকি প্রদান করে।তার বিভিন্ন অপকর্মের সীতাকুণ্ডবাসী পুরোই অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন।এসবের প্রতিবাদ করায় আমি ও বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ চালানো হচ্ছে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
সোনাইছড়ি ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নুরুদ্দিন জানান,কোরবান আলী শাহেদ ছাত্রদলের পদবী ব্যবহার করে বিভিন্ন অপকর্ম করে যাচ্ছেন।৫ আগস্টের পর সীতাকুণ্ডে অবস্থিত বেশ কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠানে কেএসআর এম,বিএসআরএম,একেএস স্টিলসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি সহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।
মোহাম্মদ টিটু জানান,কোরবান আলী সাহেদ তার দলীয় পদবী ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন।এলাকাবাসী এবং দলীয় নেতৃবৃন্দরা এসব বিষয়ে বাধা দিলে তিনি প্রাণনাসের হুমকি প্রদান করে এবং তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য প্রচার করে।এসবের ভয়ে কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলে না।
এ বিষয়ে কোরবান আলী সাহেদের সাথে কথা বলতে মুঠোফোন যোগাযোগ করলেও তিনি কোন সাড়া দেননি।