‘হিরো আলম’কে বগুড়াতেই কোরবানি দিলো

0 ৩৮৭,৬৫১

বগুড়ায় নামকরণের মাধ্যমে আলোচিত হোলস্টাইন ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড় ‘হিরো আলম’কে কোরবানি দেওয়া হয়েছে।ঈদের পরদিন সোমবার সকাল আটটার দিকে হিরো আলমকে খামার থেকে বের করা হয়।এই সময় দুই হাজারেরও বেশি মানুষ হিরো আলমকে দেখতে আসেন।পরে তাকে কোরবানি দেওয়া হয়।

সাড়ে চার লাখ টাকায় হিরো আলমকে কেনেন বগুড়া সদরের ফুলবাড়ী মধ্যপাড়া এলাকার চাঁন মিয়া। ঈদুল আজহার আগের দিন শনিবার হিরো আলম বিক্রি হয়।

এ তথ্য নিশ্চিত করেন হিরো আলমের বিক্রেতা খামারি জিয়াম প্রামাণিক।এর আগে,জনপ্রিয়তার বেড়ে যাওয়ায় হিরো আলমের মন খারাপ হয়!ঠিকমত খাবারও খায়নি।স্থানীয়রাসহ প্রতিদিন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ তাকে দেখতে আসতেন।এতে বিরক্তবোধ করছিলেন হিরো আলম।ওই সময় কেউ কাছে গেলে তাকে শিং দিয়ে গুঁতো দেওয়ার চেষ্টা করত।

অবশেষে ২২ মণ ওজনের হিরো আলম বিক্রি হলো সাড়ে চার লাখ টাকায়।তবে হিরো আলমের দাম হাঁকা হয়েছিল আট লাখ টাকা।কালো ও সাদা রঙের তিন বছর আট মাস বয়সের হিরো আলমের দৈর্ঘ্য প্রায় ৮ ফুট এবং উচ্চতা সাড়ে ৫ ফুট।

জন্মের পর থেকেই তাকে লালন-পালন করেন বগুড়া সদর উপজেলার ফুলবাড়ী মধ্যপাড়া এলাকার খামারি জিয়াম প্রামাণিক।তিনি একই এলাকার আবু জাফর প্রামাণিকের ছেলে।

জিয়াম প্রামাণিক জানান,প্রায় চার যুগ আগে বগুড়ার বনানী সুলতাগঞ্জ হাট থেকে একটি গাভী কেনেন তার পরিবারের সদস্যরা।সেই গাভী থেকেই নিজ খামারেই বংশানুক্রমে হিরো আলমের জন্ম হয়।

গরুর নাম হিরো আলম রাখার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন,‘জন্মের সময় থেকেই হিরো আলম দেখতে অনেক সুন্দর ছিল।একারণে তাকে ভালোবেসে শখ করে নাম রেখেছিলাম হিরো আলম।প্রতিদিন অনেক মানুষ তাকে দেখতে আসছিলেন।তাকে শুধু একনজর দেখার জন্য স্থারীয়রাসহ জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ আসতেন।তবে লোকজন দেখতে আসলে হিরো  আলম মনখারাপ করত।এমনকি সে ঠিকমত খাবারও খায়নি ওই সময়।

তিনি আরোজানান,হিরো আলমকে প্রতিদিন ঘাস, খৈল,ভূষি,খঁড়,কাঁচা কলা ও বিচিকলা,ভাতসহ বিভিন্ন দেশীয় খাবার খাওয়ানো হত।তাকে কোনো ধরণের ক্ষতিকর ট্যাবলেট সেবন করানো ও ইনজেকশন দেওয়া হয়নি।দেশি গরুর মতই তাকে লালন-পালন করা হয়েছিল।

দিনে দুই বার তাকে গোসল করানো হয়েছিল।তবে তাকে বাড়ির বাহিরে কখনও বের করা হয়নি।বাড়ির আঙিনাতেই তাদের খামার।ফলে হিরো আলম খামার ও বাড়ির মধ্যে ঘোরাফেরা করেই বড় হয়।

খামারি জিয়াম ডেইলি বাংলাদেশকে জানান,হিরো আলমের দাম হাঁকা হয়েছিল আট লাখ টাকা।তিনি কুরবানি ঈদের আগেই হিরো আলমকে বিক্রি করতে চেয়েছিলেন।ফলে চাহিদার তুলনায় দাম না পেলেও হিরো আলমকে বিক্রি করেছেন।কোনো হাটে না নিয়ে খামারে রেখেই তাকে বিক্রি করেন।তবে হিরো আলমের ছবিসহ বিবরণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া হয়েছিল।

তিনি আরো জানান,হিরো আলম বিক্রির পরেও তার খামারেই ছিল।আজ সোমবার খামার থেকে বের করে তাকে কোরবানি দেওয়া হয়।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!