‘বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা বাঙালির সবচেয়ে কলঙ্কিত ঘটনা’

0 ৩০০,৪১০

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা জাতির জন্য সবচেয়ে কলঙ্কিত ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তিনি বলেছেন,মানুষের ভালোবাসার টানে নিজের পুরো জীবন উৎসর্গ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু।অথচ তাকেই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যা করা হয়,যা ছিল জাতির জন্য সবচেয়ে কলঙ্কিত ঘটনা।সোমবার(১ আগস্ট)কৃষকলীগের স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধনের সময় এসব কথা বলেন তিনি।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাঙালির ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্যতম ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।সেই কালরাতে গোটা বাঙালি জাতিকে কলঙ্কিত করেছিল সেনাবাহিনীর উচ্ছৃঙ্খল কিছু বিপথগামী সদস্য।ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর সড়কের ঐতিহাসিক ভবনে ঘাতকের নির্মম বুলেট বিদ্ধ করে শহিদ হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

ঘাতকের হাতে সেই রাতে প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব,বঙ্গবন্ধুর বড় ছেলে শেখ কামাল,শেখ জামাল, শেখ রাসেল,পুত্রবধূ সুলতানা কামাল,রোজী জামাল,ভাই শেখ নাসের,কর্নেল জামিল,বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযোদ্ধা শেখ ফজলুল হক মণি,তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি,ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত,শিশু বাবু,আরিফ রিন্টু খানসহ অনেকে।ওই সময় দেশে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ছোট বোন শেখ রেহানা।

শেখ হাসিনা বলেন,বঙ্গবন্ধুকে হত্যার আগেও এখনকার মতো অপপ্রচার চালিয়েছিল ঘাতকের দল।বঙ্গবন্ধুর খুনি ছিলেন মোশতাক।আর সহযোগী ছিলেন জিয়াউর রহমান।অনুষ্ঠানে বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন,বিএনপি তাদের শাসনামলে দেশে খাদ্যের ঘাটতি তৈরি করেছিল। এই ঘাটতির কারণে খাদ্য আমদানির প্রয়োজন পড়ত।আর আমদানি করতে গিয়ে বিএনপি কমিশন খেত।

সরকারপ্রধান বলেন,২০০৯ সালে যখন সরকার গঠন করি, তখন দেশে খাদ্য ঘাটতি পাই।দেশে খাদ্য ঘাটতি রেখে বাঙালি জাতিকে ভিক্ষুক হিসেবে বিশ্ব পরিচয় করানো এবং ভিক্ষা চেয়ে নিয়ে আসে বিএনপি।আসলেই ভিক্ষা চাওয়া না, এটাও একটা ব্যবসা।খাদ্য কিনবে,ব্যবসা করবে এবং কমিশন খাবে।এটাই করেছিল বিএনপি।

শেখ হাসিনা বলেন,অস্ত্র,চোরাকারবারির সঙ্গে তারা সম্পূর্ণ জড়িত।এটাতো বিএনপির এক নেতা বক্তব্যে আছে।গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে ওই সমস্ত কাজ করানো হত।সেই ১০ ট্রাক অস্ত্র ধরা পড়েছে,একটা চালান ধরা পড়েছে।এরকম কত চালান এদেশে এসেছে এবং গেছে!

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন,দেশকে সম্পূর্ণ পরনির্ভরশীল করে দেশের মানুষের নিরাপত্তা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেওয়া,জঙ্গিবাদ,সন্ত্রাস সৃষ্টি করা,পাঁচবার দুর্নীতিতে এক নাম্বারে ছিল,দুর্নীতি-সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ,খুন-খারাবি,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অস্ত্রের ঝনঝনানি,মেধাবী ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া এবং তাদেরকে লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করা,শিক্ষার সম্পূর্ণ পরিবেশ ধ্বংস করা,সাক্ষরতার হার আবার কমিয়ে সেই ৪৫ থেকে ৫০ ভাগের নামিয়ে নিয়ে আসা।এইতো বিএনপি দিয়েছিল।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!