সাত কোটি টাকার ইয়াবাসহ ইয়াবা সম্রাট আলমগীর আটক।

0 ৫১০,৪০০

কক্সবাজার জেলার উখিয়া থেকে প্রায় ০৭ কোটি টাকা মূল্যের ২,৩৮,০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটের বিশাল চালানসহ ইয়াবা সম্রাট আলমগীর ও তার দুই সহযোগীকে আটক করেছে র‌্যাব-৭,চট্টগ্রাম।

“বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন(র‌্যাব)প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে।

র‌্যাব-৭,চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী,ডাকাত,ধর্ষক,দুর্ধষ চাঁদাবাজ,সন্ত্রাসী,খুনি,ছিনতাইকারী,অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র,গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

র‌্যাব-৭,চট্টগ্রাম গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে,কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানাধীন বালুখালী ছড়া ব্রীজ সংলগ্ন কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কের পাকা রাস্তার উপর মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে।

উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল(২৫শে সেপ্টেম্বর) র‌্যাব-৭,চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানা আওতাধীন জালিয়া পালং এর মৃত ফরিদ আলমের পুত্র আলমগীর(৩০),আঞ্জুমান পারার আলী মিয়ার পুত্র নজরুল মিয়া(২৬) ও পশ্চিম পালংখালীর আবদুল গফুরের পুত্র মুক্তার আহমেদ(৪২)কে আটক করতে সক্ষম হয়।

পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীদের দেখানো ও নিজ হাতে বের করে দেয়া ৩টি বস্তার ভিতর প্লাষ্টিক,রাবার ও পেপার দ্বারা মোড়ানো অবস্থায় মোট ২,৩৮,০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারসহ আসামীদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে,আসামী আলমগীর তার সাথে পার্শ্ববর্তী দেশ মায়ানমার এর বড় বড় ইয়াবা ব্যবসায়ীদের পরিচয়ের সূত্র ধরে ইয়াবা ব্যবসায় পুঁজি বিনিয়োগ করে তার একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে।পরবর্তীতে তার ঐ সিন্ডিকেট সদস্যদের মাধ্যমে উখিয়া থানাধীন পালংখালী ইউপির বালুখালী এলাকার কিছু রাস্তা ব্যবহার করে ইয়াবা ট্যাবলেট এর বড় চালান তার ও তার সহযোগীদের বসতবাড়িতে মাটিতে গর্ত করে পুঁতে রেখে তা ছোট ছোট চালান আকারে সরবরাহ করে থাকে।

উক্ত সরবরাহ কাজে আসামি নজরল মিয়া ও মুক্তারসহ তার সিন্ডিকেট এর অন্যান্য আরো সদস্যরা সহযোগিতা করে থাকে।গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!