
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে হত্যার উদ্দেশ্যে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত ও কব্জি বিচ্ছিন্নকারী মামলার এজাহারভূক্ত পলাতক আসামী পারভেজকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।দীর্ঘদিন ধরে হাসানের সাথে আসামী পারভেজের পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দল চলে আসছিল।তারই জের ধরে গত ১৯শে আগস্ট সকালে পারভেজ তার দলবল নিয়ে দেশীয় তৈরী রামদা,কিরিচ ও লোহার রড নিয়ে হাসানের বাড়ীর সামনে এসে মাতাল অবস্থায় অশ্লীল ভাষায় উচ্চ স্বরে গালাগাল করতে থাকে।
হাসান ঘর থেকে বের হয়ে তাদেরকে বাড়ীর সামনে উশৃঙ্খলতা না করার জন্য নিষেধ করলে পারভেজ ও তার বাহিনী ক্ষিপ্ত হয়ে হাসানের ঘরে প্রবেশ করে হাসানের শার্টের কলার ধরে গালাগাল ও মারধর শুরু করে।মারধরের একপর্যায়ে পারভেজ তার হাতে থাকা কিরিচ দিশে হাসানের মাথায় কোপ দিলে সেই কোপ ঠেকাতে গিয়ে তার ডান হাতের কব্জি দুই টুকরা হয়ে যায়,মাথার সামনে ডান পাশে,ডান চোখের উপর,বাম হাতে এবং পিঠে গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম হয়। পারভেজ বাহিনীর হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে হাসানের ডান বাহু,পিঠে,ডান হাঁটুতে ও চোখের বাম পাশে আঘাত করে গুরুতর জখম করে।
একপর্যায়ে হাসান বেহুশ হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে পারভেজ শ্বাসরোধ করে হত্যার উদ্দেশ্যে হাসানের গলা চেপে ধরে।গুরুতর আহত হাসানের চিৎকারে আশেপাশের লোকজনকে ঘটনাস্থলে আসতে দেখলে পারভেজ ও তার বাহিনী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন হাসানকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায়।
এ ঘটনায় হাসান বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী মডেল থানায় ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত পারভেজ ও তার চার সহযোগীকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।গ্রেফতারের ভয়ে পারভেজ ও চার সহযোগী এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।কিন্তু র্যাব-৭,চট্টগ্রাম ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতারের জন্য চট্টগ্রাম ছায়াতদন্ত ও গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৭,চট্টগ্রাম উক্ত মামলার এজাহারভুক্ত ১নং পলাতক আসামী পারভেজকে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী মডেল থানাধীন হাটহাজারী মাদ্রাসার সামনে থেকে গ্রেফতার করেন।