“নৌ উপদেষ্টাকে চট্টগ্রাম আসতে দেওয়া হবে না”-চসিক মেয়র শাহাদাত হোসেন।

0 ৯০০,০০৬

চট্টগ্রাম বন্দরকে কেন্দ্র করে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলেছেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল(অব.) সাখাওয়াত হোসেন।তাঁর এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন,চাঁদাবাজি তো দূরের কথা,বন্দর নিয়ে আমি কখনো কাউকে ফোন বা তদবির করিনি। অতীতে কারা চাঁদা নিত,সুনির্দিষ্ট করে বলতে না পারলে চট্টগ্রামে উনাকে আসতে দেব না,এটা ফোনেই বলেছি।

তিনি আরো বলেন,আমি চট্টগ্রামের মেয়র হিসেবে সুনির্দিষ্ট নাম পেলে সেই চাঁদাবাজদের প্রতিহত করব। সেই সৎসাহস আমার আছে।

বুধবার(১০ ডিসেম্বর)সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের কর্ণফুলী হলে আয়োজিত অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এসব মন্তব্য করেন।

গত সোমবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে নৌপরিবহণ উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেন তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম বন্দরে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার চাঁদাবাজি হয় বলে অভিযোগ করেন।চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক-বর্তমান কোনো মেয়রের নাম উল্লেখ না করে তিনি ‘মেয়র কম,বন্দররক্ষক বেশি’এমন মন্তব্যও করেন,যা নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

এসময় মেয়র শাহাদাত বলেন,নৌপরিবহন উপদেষ্টার বক্তব্যের পর কিছু পত্রিকা লিখেছে,মেয়ররা নাকি চাঁদার ভাগ পেতেন।আমি তা দেখেই তাৎক্ষণিক ওনাকে ফোন করি।অতীতে কারা চাঁদা নিতো,সুনির্দিষ্ট করে বলতে না পারলে চট্টগ্রামে আসতে দেব না।

মেয়র বলেন,চাঁদাবাজি তো দূরের কথা,বন্দর নিয়ে আমি কখনো কাউকে ফোন বা তদবির করিনি। প্রতিদিন যদি দুই-আড়াই কোটি টাকা চাঁদা ওঠে,মাসে ৬০ কোটি,বছরে ৭২০ কোটি টাকা হয়।অথচ সিটি করপোরেশনকে ন্যায্য ২০০ কোটি টাকার হোল্ডিং ট্যাক্স দেওয়া হয় না।বন্দরের ভারী মালবাহী ট্রাক-ট্রেইলারের চাপ সড়কের ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে।আমার রাস্তাগুলো ৭-৮ টন বহনক্ষম।সেখানে ২০-৪০ টনের গাড়ি চলছে।প্রতি বছর ৪০০-৫০০ কোটি টাকা শুধু রাস্তায় খরচ করতে হয়।ন্যায্য ট্যাক্স না দিয়ে উলটো চাঁদাবাজির অভিযোগ করা হচ্ছে,যা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে মেয়র বলেন,সাংবাদিকতা হবে বস্তুনিষ্ঠ। যে সাংবাদিকতায় মানুষের চরিত্রহনন হয়, তার দায় সাংবাদিকদেরও নিতে হয়।প্রেসক্লাবের উচিত অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি’র সভাপতিত্বে ও সদস্য গোলাম মওলা মুরাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে নগর জামায়াতের সেক্রেটারি নুরুল আমীন,দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান,জামায়াত নেতা মোহাম্মদ উল্লাহ,ডা. এ কে এম ফজলুল হক,এনসিপি নেত্রী সাগুফতা বুশরা মিশমা এবং প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনি মনসুর,জ্যেষ্ঠ্য সাংবাদিক শামসুল হক হায়দরী,কাজী আবুল মনসুর,মুস্তফা নঈম,সালেহ নোমান,শেখর ত্রিপাঠি,জালাল উদ্দিন চৌধুরী,কামরুল ইসলাম চৌধুরী,শহিদুল ইসলাম,সরোজ আহমেদ,ফারুক আব্দুল্লাহ,ফারুক মুনির,মুজাহিদুল ইসলাম,নিজাম উদ্দিন,মোস্তফা কামাল পাশা,ফরিদ উদ্দিন,জাহাঙ্গীর আলম,লতিফা আনসারি রুনা,সোহাগ কুমার বিশ্বাস, ইবেন মীর,শরিফুল রুকন,মাহফুজুর রহমান,নুরুল আমিন মিন্টু,শাহাদাত হোসেন আবু সায়েম,জহুরুল আলম,আজিজা হক পায়েল,কিরণ শর্মা,আফসানা নুর নওশীন,অভীক ওসমান ও গিয়াস উদ্দিন বক্তব্য দেন।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!