“পুলিশের জীবন”পুলিশ একমাত্র প্রতিষ্ঠান যাদের কোন কর্মঘণ্টা নেই।

রাকিব হাসানঃ আমাদের রাষ্ট্র পরিচালিত হয় সরকার দ্বারা। যার আদেশ, নির্দেশ মানাতে হয় জনগনের নিকট পুলিশের দ্বারা।

পুলিশের কাজ সারা দেশে এক ঘন্টার জন্য বন্ধ রাখা হোক,তাহলে বুঝবেন – আপনার ঘরের সন্মান থাকবেনা, দোকানে মাল থাকবে না, যাত্রাপথে রেল বা গাড়ী থাকবেনা, মোড়ে মোড়ে লাশ পাওয়া যাবে, সকল ব্যাবসা বানিজ্য বেহাত হয়ে যাবে, সরকার পদত্যাগ করবে, আর আপনার পরনের কাপড় চুপোর ও খুজে পাওয়া যাবেনা। জানাজা নামাজে লোক পাওয়া যাবেনা, আপনার মত শান্তি প্রিয় লোকগুলো নিজেকে লুকিয়ে বাচানোর ব্যর্থ চেষ্টা করবে।

এরপরেও পুলিশ খারাপ?

দেশের লাখ লাখ লোক তার নিজের চাকুরীকে বলে সে ‘সার্ভিস’ করে। আসলে তারা সবাই চাকুরী করে। পৃথিবীর বুকে মাত্র ৪ টি পেশা হলো সার্ভিস (ক্যামব্রিজ ডিকশনারী দেখুন)।
১। পুলিশ
২। ডাক্তারি ও নার্সিং
৩। এ্যামবুলেন্স ও
৪। ডাক বা চিঠিপত্র সংক্রান্ত

অনেকেই শুনেছেন পুলিশ ঘুষ খায়। আপনি কখনো ঘুষ দিয়েছেন?
দেননি।
তাহলে কেন এই ধারনা?
শুনেছেন আপনি?
শুনেই বলে বেড়ান পুলিশ খারাপ?
আর দিলেও কেনো দিলেন?
ছোট্টো উপহার বলে ঘুষ দিলেন।
আপনার ভাই সেদিন ফেন্সিডিল সহ গ্রেফতার হলো, আপনার সম্মানীয় বাবার মুচলেকায় ছেড়ে দেওয়া হল। আজও কেউ জানেনা, কাউকে বলিনি আপনাদের সম্মানের কথা ভেবে।
এটাই কি পুলিশের দোষ?

পুলিশ এত ঘুষ খায় তারপরও তার একটি বাড়ি নাই। ডাক্তার, কর্মহীন রাজনীতি বিদের মত চাকুরীর পাঁচ বছর পর ডাক্তার ক্রয় করে বাড়ী – গাড়ি।আর পুলিশ চাকুরির পাঁচ বছর পর ক্রয় করে মোটর সাইকেল, কেন জানেন আপনার চাকুরির ভেরিফিকেশন করার জন্য, তাড়াতাড়ি ডিউটিতে যাওয়ার জন্য। এর পরেও দূর্ঘটনায় কেউ মারা গেলে বলা হয়
একজন পুলিশ সহ পাঁচজন নিহত।

পুলিশ কি কোন মানুষ না?

যে নিজে না ঘুমিয়ে অন্যের ঘুমকে নিরাপদ করে দেয়। যে ট্রাফিক পুলিশ রোদে পুড়ে আপনার
পথ চলা নির্বিঘ্ন করে। যে ঈদের নামাজ ও গীতা নিজে পড়তে না পেরে আপনার নামাজকে, গীতা পড়াকে নিরাপদ করে।
সে আর যাই হোক, সেই পুলিশ শ্রেষ্ঠতম পুরষ্কার একমাত্র স্বর্গে।

পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীবিকা পুলিশ।

জয় হোক সকল পুলিশ সদস্যদের।

বাংলাদেশ পুলিশ ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে দেশব্যাপী ৬ হাজার ৯১২টি বিট পুলিশিং এলাকায় ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন বিরোধী সমাবেশের আয়োজন করেছে।

সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশের সকল বিটে একযোগে একই সময়ে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন বিরোধী সমাবেশ অনুষ্ঠান পালন করেন।

সমাবেশে অংশগ্রহণকারীগণ ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন বিরোধী পোস্টার, লিফলেট, প্ল্যাকার্ড প্রদর্শনের মাধ্যমে জনসাধারণকে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাবেন এবং এ ধরনের ঘৃণ্য অপরাধের বিরুদ্ধে সচেতন করবেন।প্র‌তি‌টি সমা‌বেশ স্ব স্ব বি‌টের ফেইসবুক পেই‌জে সরাস‌রি সম্প্রচার করা হ‌বে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

দেশের সামাজিক শৃঙ্খলা এবং জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা বিধানকল্পে ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতনের প্রতিটি ঘটনায় অপরাধীকে আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করছে বাংলাদেশ পুলিশ।

বাংলাদেশ পুলিশ দেশের সেবা ও জনগণের কল্যাণে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা নিয়ে সর্বদা সর্বতোভাবে জনগণের পাশে রয়েছে।

পুলিশ একমাত্র প্রতিষ্ঠান যাদের কোন কর্মঘণ্টা নেই।

দিন-রাত তাদের পরিশ্রম করতে হয়। যখন-যেখানে ডাক পড়ে সেখানেই ছুটে যেতে হয়। এটাই হলো পুলিশের জীবন।

Comments (০)
Add Comment