মহেশখালীর অপহৃত কিশোর মোজাহিদ ৩ মাস পর উখিয়া ক্যাম্প থেকে উদ্ধার,আটক ১

আবদুর রাজ্জাকঃ কক্সবাজারের মহেশখালী থেকে ৩ মাস আগে অপহৃত কিশোর মোজাহিদকে মহেশখালী থানা পুলিশ একাধিক বার অভিযান চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে মঙ্গলবার (২ মার্চ) রাত ৮ ঘটিকার সময় উখিয়া থানাধীন কুতুপালং ক্যাম্পের টু – ডব্লিউ ক্যাম্প এ ডি / ৪ / ডি , ব্লক এ রােহিঙ্গা বসির আহামদ ( ৪০ ) ছেলে – মৃত সুলতানের বসত ঘর থেকে উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় মুক্তিপণ নিতে আসা এক নারী পাচারকারীকে আটক করেছে পুলিশ।

সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মােঃ জাহিদুল ইসলাম বুধবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন,বিগত ৩ মাস আগে অপহৃত কিশোর মোঃ মোজাহিদ কে ছেড়ে দিতে অপহরণকারীরা ৪ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে সম্প্রতি ছেলের বাবাকে অপহরণকারীরা ফোন করে।ফোনের সুত্র ধরে মুক্তিপণের টাকা নিতে টেকনাফের রোজিনা আক্তার নামে এক নারী অপহরণকারী গত ১৭ ফ্রেবুয়ারি মহেশখালী আসলে পুলিশ তাকে স্থানীয়দের সহায়তায় আটক করে।

সে টেকনাফ শামলাপুর এলাকার জহির আলমের কন্যা।ওই মহিলাকে নিয়ে পুলিশ একাধিকবার কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ব্যার্থ হলেও অবশেষে অপহরণকারীদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে গত মঙ্গলবার (২ মার্চ) বিকাল থেকে রাত ৮ টা পর্ষন্ত মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মােঃ আব্দুল হাই ও পুলিশ পরিদর্শক ( তদন্ত ) মোঃ আশিক ইকবাল এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ উখিয়া থানাধীন কুতুপালং ক্যাম্পের টু -ডব্লিউ ক্যাম্প এ ডি / ৪ / ডি,ব্লক এ রােহিঙ্গা বসির আহামদ ( ৪০ ) ছেলে -মৃত সুলতান এর বসত ঘরে অভিযান চালিয়ে অপহৃত মোঃ মোজাহিদ (১৬) কে উদ্ধার করে।অপহৃতমোজাজিদ মহেশখালী পৌরসভার গোরকঘাটা সিকদার পাড়ার আবদুল গফুরের ছেলে।

মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল হাই বলেন,অপহরণের ঘটনায় অপহৃত মোজাহিদের পিতা আব্দুল গফুর বাদি হয়ে মহেশখালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০( সংশােধীত ২০০৩ )এর ৭/৮/৩০ ধারায় মামলা দায়ের করে।উক্ত মামলায় রোজিনা আক্তার(২৭) কে আসামী করে অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।বাকি আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।

Comments (০)
Add Comment