লামায় নদীতে ডুবে বৃদ্ধের মৃত্যু, দুদিন পর লাশ উদ্ধার

বান্দরবান প্রতিনিধিঃ বান্দরবান লামায় খাল পারাপারের সময় পানিতে ডুবে থুইচিমং মার্মা (৫৫) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার (২২ জুলাই) সকাল ১০টায় উপজেলার রুপসীপাড়া ইউনিয়নের লামা খালের ছলুমঝিরি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানাযায়, নিহত থুইচিমং মার্মা উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের পাদুখোলা এলাকার মৃত মংলুং মার্মার ছেলে। সে রুপসীপাড়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের কমপং ম্রো পাড়ার চিপরি ম্রো এর বাড়িতে থেকে কাজকর্ম করত। সে গত সোমবার রাত ৯টায় ৭নং ওয়ার্ডের ছলুমঝিরি ম্রো পাড়া হতে গো উৎসবে অংশ নিয়ে কমপং ম্রো পাড়ায় ফেরার পথে লামা খাল পারাপারের সময় বড় কলারঝিরি বাকেঁ পানিতে ডুবে যায়। ডুবে যাওয়ার সময় নৌকার মাঝি মো. ফারুক (২৩) ভাড়া নিয়ে ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিল। ফারুক ও স্থানীয়রা তাকে ডুবতে দেখে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পায়নি। অবশেষে ডুবে যাওয়ার দুইদিন পরে ঘটনাস্থল থেকে ২/৩ কিলোমিটার নিচে ছলুমঝিরিস্থ লামা খালে তার লাশ ভেসে আসতে দেখে নৌকার মাঝি মো. জামাল।

নৌকার মাঝি মো. ফারুক বলেন, আমি সোমবার (২০ জুলাই’২০) রাতে রুপসীপাড়া বাজার হতে ২জন যাত্রী রিজার্ভ ভাড়া নিয়ে হেডম্যান পাড়া যাচ্ছিলাম। রাত প্রায় ৯টায় লামা খালের বড় কলারঝিরিস্থ বাকেঁ পৌছালে দেখতে পাই একটি লোক পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছে। তার হাতে একটি টর্চলাইট ছিল। লাইটটি জ্বলছিল। আলো দেখে আমি খেয়াল করি ও চিৎকার দিই। তাড়াতাড়ি নৌকা খালের একপাড়ে ভিড়িয়ে আমরা ২/৩ জন মিলে পানিতে নেমে অনেকক্ষণ খোঁজাখুঁজি করি। খালে পানি বেশী থাকায় ও স্রোত বেশী হওয়ায় আমরা তাকে খুঁজে পাইনি। গত কয়েকদিন বৃষ্টি হওয়ায় খালে প্রচুর পানি ও স্রোত ছিল। বিষয়টি আমি সবাইকে জানাই।

এদিকে, রুপসীপাড়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার লংনা ম্রো বলেন, আমরা নৌকার মাঝি হতে খবর পেয়ে সোমবার থেকে আজ দুইদিন যাবৎ তাকে অনেক খুঁজেছি। ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার মো. আব্দুল মন্নান বলেন, যে স্থানে লাশটি পাওয়া গেছে সেই ছলুমঝিরি আমার ওয়ার্ডের পড়েছে। লাশটি দুইদিন পানিতে থাকতে থাকতে কিছুটা ফুলে গেছে। তবে লাশের গায়ে কোন আঘাতের চিহ্ন নাই। হাতে একটি কালো ঘড়ি ছিল।

রুপসীপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ছাচিং প্রু মার্মা বলেন, গত ২/৩ বছর যাবৎ সে এই এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে কাজকর্ম করে জীবিকা নির্বাহ করত। সে বিয়ে করেনি। তাছাড়া থুইচিমং মার্মা মানসিক রোগী ছিল।

লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, সরেজমিনে এসে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, নিহতের স্বজন ও স্থানীয়দের সাথে আলাপ করে জানা যায় পানিতে ডুবে তার মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নিহতের গায়ে কোন আঘাতের চিহ্ন নেই। তাই উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিতপূর্বক লাশের সুরতহাল শেষে শেষকার্য সম্পাদনের জন্য বলা হয়েছে।

Comments (০)
Add Comment