অপহৃত মেয়ে উদ্ধারসহ অপহরণকারীদের আটক করেছে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম।

চট্টগ্রামের হাটহাজারী থেকে ৪র্থ শ্রেণীতে অধ্যয়নরত ১২ বছরের নাবালিকা মেয়েকে অপহরণ,অপহৃত মেয়ে উদ্ধারসহ অপহরণকারীদের আটক করেছে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম।অপহৃত ১২ বছর বয়সের এবং ৪র্থ শ্রেণীতে পড়ুয়া একজন ছাত্রী।বড় ভাইয়ের সাথে আসামী সুমনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল।সেই সুবাধে সে প্রায়ই মেয়েদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করত এবং মেয়েটিকো বিভিন্ন সময়ে প্রেমের প্রস্তাব দিত।মেয়ের বাবা বিষয়টি বুঝতে পেরে সুমনকে তাদের নাবালিকা মেয়ের সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ কিংবা উত্যক্ত না করার জন্য নিষেধ করলে আসামী ক্ষিপ্ত হয়ে মেয়ের বাবাকে বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করে যে সে যেকোন সময় তার মেয়েকে উঠিয়ে নিয়ে যাবে।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ২ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় মেয়েটি মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে আসামী সুমন পূর্বপরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন প্রকার প্ররোচনা, লোভ-লালসা ও ফুসলিয়ে তাকে সিএনজিতে করে অজ্ঞাত একটি বাসায় নিয়ে যায়।

পরবর্তীতে মেয়ের বাবা তার মেয়েকে হাটহাজারীসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজা খুঁজি করে সন্ধান না পেয়ে হাটহাজারী থানায় নিখোজ সংক্রান্তে একটি জিডি করেন যার জিডি নং-১৫,গত ৩ সেপ্টেম্বর বিষয়টি র‌্যাব-৭,চট্টগ্রামকে অবহিত করেন।

র‌্যাব-৭,চট্টগ্রাম মেয়েটিকে উদ্ধার এবং অপহরনের সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত রাখে।এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৮ সেপ্টেম্বর দুপুর অনুমান ১২টায় চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানাধীন খিল্লাপাড়া রেল ক্রসিং এলাকা হতে উক্ত অপহরণের সাথে জড়িত চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানা আওতাধীন চারিয়ার মৃত ফকির আহমেদের ছেলে সুমন ও একই এলাকার আক্তার হোসেনের স্ত্রী ডেইজী আক্তারকে গ্রেফতার করেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী সুমন স্বীকার করে সে বিভিন্ন প্রকার লোভ-লালসা ও মিথ্যা আশ্বাস সহ জোর পূর্বক নাবালিকা ভিকটিমকে অপহরণ করে এবং তার ভাবী ২ নং আসামীর সহায়তায় ভিকটিমকে বাসায় আটক রেখে শারীরিক সর্ম্পক স্থাপন করে।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

Comments (০)
Add Comment