আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো পেঁয়াজ আমদানি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ৮ মাস পর দ্বিতীয়বারের মত পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। গেলো রোববার বিকেল পর্যন্ত স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৪টি ট্রাকে করে ১ হাজার ২৯০ বস্তা পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। এতে দেশের অন্যতম বৃহত্তম আখাউড়া স্থলবন্দরে আমদানি কার্যক্রমে গতি এসেছে। অপরদিকে রপ্তানিমুখী এই বন্দরে পেঁয়াজ আমদানি কার্যক্রম শুরু হওয়ায় ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রোববার স্থলবন্দরে সোয়েব ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি প্রতিষ্ঠান ৬০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করে। আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শেষে রোববার বিকেলে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সোয়েব ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল আমদানি করা পেঁয়াজ ট্রাক থেকে খালাস করে। আমদানি করা পেঁয়াজ থেকে ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়েছে।

সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সোয়েব ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী রাজীব উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, ২০০ টন পেঁয়াজ এল সি করা হয়েছে তারই ধারাবাহিকতায় রোববার ৩১০ ডলার সুল্কায়িত মূল্যে ৬০ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। পর্যায়ক্রমে রমজানের আগেই বাকি ১৪০ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হবে। ভালো দাম পাওয়া গেলে এ বন্দর দিয়ে আরও পেঁয়াজ আমদানি করা সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।

আখাউড়া স্থলবন্দর কর্মকর্তা (ট্রাফিক) মুস্তাফিজুর রহমান জানান, আখাউড়া স্থলবন্দরে দ্বিতীয়বারের মতো চারটি ট্রাকে করে ৬০ টন পিয়াজ আমদানি করা হয়েছে। এই পেঁয়াজ আমদানির মাধ্যমে বাজার যেমন স্থিতিশীল থাকবে তেমনি বন্দরের লেবার শ্রমিকদের কর্মসংস্থানও বাড়বে এবং বন্দরের রাজস্বও বারবে। আখাউড়া স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা শাহ্ নোমান সিদ্দিকী জানান, আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো রোববার ৬০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানিতে সরকার রাজস্ব পেয়েছে ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা।

আমদানি বাড়লে রাজস্ব আয়ও বাড়বে বলেও মনে করেন কাস্টমসের এই কর্মকর্তা। ১৯৯৪ সালে বন্দর হিসেবে কার্যক্রম শুরু করা আখাউড়া স্থলবন্দর মূলত রপ্তানিমুখী। এ বন্দর দিয়ে রপ্তানি হওয়া পাথর, সিমেন্ট, মাছসহ অন্যান্য পণ্য ভারতের ত্রিপুরাসহ সাতটি রাজ্যে সরবরাহ হয়। বন্দর দিয়ে একসময় শুঁটকি আমদানি হলেও সেটি নানা কারণে একপ্রকার বন্ধ হয়ে যায়।

Comments (০)
Add Comment