আখাউড়ায় সাংবাদিক লায়ন রাকেশ কুমার ঘোষ কে লাঞ্ছিত অভিযোগ উঠেছে আখাউড়া পৌরসভার ইন্জিনিয়ার ফয়সালের বিরুদ্ধে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়ায় পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডে বহু বছর আগে এডভোকেট ইয়াসিন মার্কেট নামে ১০ থেকে ১২ টা দোকান স্থাপিত ছিল।ওই ইয়াছিন মার্কেট হঠাৎ রেল কর্তৃপক্ষ দাবি করে আইনগতভাবে মার্কেট টি উচ্ছেদ করে।

বহু বছর পর গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি সকালে মার্কেটের জায়গা এডভোকেট ইয়াসিন মিয়ার ছেলেরা টিনের বেড়া দিয়ে ঘেরাও করে।ঠিক তখনই রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ এসে বাঁধা দেয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।পুলিশ চলে যাওয়ার পরে টিনের বেড়া একটি পক্ষ ভেঙে ফেলে।

ভেঙে ফেলার সময় জাতীয় দৈনিক মাতৃজগত পত্রিকার আখাউড়া উপজেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক লায়ন রাকেশ কুমার ঘোষ মোবাইলে ভিডিও ধারণ করতে গেলে আখাউড়া পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার ফয়সালও পৌরসভার কিছু লোক মিলে শত শত লোকের সামনে সাংবাদিক লায়ন রাকেশ কুমার ঘোষকে লাঞ্ছিত করে মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

এমন ঘটনা দেখে তাৎক্ষণিক পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুজন ও ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শিপন হায়দার মোবাইল ফোন উদ্ধার করে সাংবাদিক রাকেশ কুমার ঘোষকে দিয়ে দেয়।

এই বিষয়ে কাউন্সিলর সুজন ও শিপন হায়দার বলেন,ঘটনা সত্য।সাংবাদিক ভিডিও করায় মোবাইল থাবা মেরে নিয়ে নেন ইন্জিনিয়ার ফয়সাল।পরে আমরা তার থেকে নিয়ে সাংবাদিক কে ফেরত দেয়।

এই বিষয়ে জায়গার মালিক জানান,জায়গা আমার রেলের না।উনারা আসছে আমি আমার কাগজপত্র দেখায় তাই ওরা পুলিশ সহ চলে যায় কিন্তু কিছুক্ষণ পর একদল সন্ত্রাসী এসে আমার জায়গায় ভাঙ্গচুর চালায় আর সেই সময় ভিডিও ধারণ করায় এই সব ঘটনা ঘটে।

এই বিষয়ে আখাউড়া পৌরসভার ইন্জিনিয়ার ফয়সালের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন মোবাইল কেড়ে নেওয়ার মত এমন ঘটনা ঘটে নাই কিন্তু উপস্থিত থাকা শত শত লোকের বক্তব্যে জানা যায় ফয়সাল মোবাইল ফোন টি থাবা মেরে নিয়ে নেয়।এমনকি ভিডিওতেও দেখা যায় ইন্জিনিয়ার ফয়সাল সাংবাদিক রাকেশ কুমার ঘোষের মোবাইল ফোন কেড়ে নেই।

মোবাইল কেড়ে নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি ডক্টর এডভোকেট আবদুল্লাহ ভূঁইয়া বাদল বলেন বিষয়টি আমাকে অভিহিত করেছেন কিন্তু এটা পৌরসভার মেয়র এর বিষয় আমি কিছু করতে পারবো না।

আখাউড়া পৌরসভা মেয়র জানান,আমি বিষয়টি শুনেছি।আমি ব্যবস্থা নিবো।

এই বিষয়টি আখাউড়া পৌরসভার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ডক্টর এডভোকেট আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া বাদল ও পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল কে অবগত করলে উনি বিষয়টি দেখবে বলে জানালে এখন পর্যন্ত কিছুই করেন নাই।

Comments (০)
Add Comment