ঈদগাঁও- ফুলছড়ি নদীতে হারিয়ে যাচ্ছে গোমাতলী রাজঘাট পাড়া।

সেলিম উদ্দিন,কক্সবাজারঃ কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের উত্তর গোমাতলী ৭ নং ওয়ার্ড রাজঘাট পাড়া ফুলছড়ি নদীর গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে।বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে লন্ডভন্ড হওয়ায় প্রতিদিন জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে এলাকা। যে কারনে রাজঘাট পাড়ার মানুষ গত ক’বছর ধরে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

বর্তমানে ফুলছড়ি নদীর গর্ভে বিলীন হওয়ার পথে পাড়ার মসজিদ কবরস্থান ও ঘাট। জোয়ার ভাটার কারনে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।অপরদিকে লন্ডভন্ড বেঁড়িবাধটি দীর্ঘদিন মেরামত না করায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

খোঁজ-খবর নিয়ে জানা গেছে, রাজঘাট পাড়ার মাত্র আড়াইশ ফুট বেঁড়িবাধ সংস্কার না হওয়ায় এলাকাবাসী মানবেতর জীবন যাপন করছে।এলাকাবাসী ভাঙ্গনরোধে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েল,সদর রামু আসনের এমপি সাইমুম সরওয়ার কমলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

নদী ভাঙ্গনের শিকার রাজঘাট পাড়ার বাসিন্দা নুরুল হুদা সওদাগর জানান, বিগত সময়ে পূর্ণিমার জোর প্রভাবে ফুলছড়ি নদীর রাজঘাট পাড়ার বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে গেছে। ভয়াবহ ভাঙ্গন অব্যাহত থাকলে আরো অনেক বসত ঘর হারিয়ে যাবে নদীর গর্ভে।

গত দুই দশকে ফুলছড়ি নদী তীরের রাজঘাট পাড়ার বাসিন্দা আবদুল মোনাফ, জাফর আলম, আবু ছৈয়দ, মো: ইসমাঈলের বসত ঘর হারিয়ে গেছে। তাদের মধ্যে অনেকে বসত ঘর হারিয়ে বিভিন্ন স্থানে যাযাবর জীবন যাপন করছে।

তিনি আরো জানান, ফুলছড়ি নদী খরস্রোত হওয়ায় ভাঙ্গন দিন দিন তীব্রতর হচ্ছে। সরকারী সাহায্যের দিকে না তাকিয়ে এলাকাবাসী ভাঙ্গন প্রতিরোধে বাঁধ সংস্কার করেন। কিন্ত জোয়ারের তীব্রতায় তাও ভেসে গেছে। জোয়ারের পানির কারনে ওই এলাকার মানুষের দুর্ভোগ যেন পিছু ছাড়ছেনা। প্রতিদিন জোয়ারের পানি এলাকার বসতঘর ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ঢুকে পড়ছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বিগত ক’বছর পূর্বে গোমাতলী সমবায় কৃষি ও মোহাজের উপনিবেশ সমিতি ও এলাকাবাসির অর্থায়নে রাজঘাট পাড়ার বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়। সে থেকে সরকারী কোন বরাদ্ধ জুটেনি।

ফুলছড়ি নদীর পাশে অবহেলিত এ গ্রামটি স্বাধীনতার পর থেকে নানা অবহেলায় রয়েছে। গ্রামের বাসিন্দারা কয়েক দফে চাঁদা দিয়ে বেড়িবাঁধ সংস্কার করলেও তা ছিল অপ্রতুল। যার কারনে দিন দিন নদী গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে বসত ঘর। হুমকিতে রয়েছে মসজিদ-কবরস্থান।

পোকখালী ইউপি চেয়ারম্যান রফিক আহমদ জানান, গোমাতলী রাজঘাটবাসীর দূর্ভোগ লাঘবে নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে ফোনে একাধিকবার পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে। আশাকরি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ দ্রুত সময়ে এলাকা পরিদর্শণ করবেন।

Comments (০)
Add Comment