কক্সবাজারে ১৪৪ ধারা: স্থান পরিবর্তন করে বিএনপির সমাবেশ

কক্সবাজার শহরের ঈদগাহ মাঠে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সমাবেশ শুরু হয়। পুলিশি বাধার মুখে সোয়া ১০টার দিকে সমাবেশ শেষ করা হয়।

সমাবেশে যোগ দিতে সকাল ৮টা থেকে বিভিন্ন স্থান থেকে দলে দলে মিছিল সহকারে জড়ো হতে থাকেন নেতাকর্মী। সমাবেশ শেষ হলেও এখনো মিছিল আসা অব্যাহত রয়েছে।

এসব মিছিলে ‘খালেদা জিয়ার কিছু হলে জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে, খালেদা জিয়া ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’ সহ নানান স্লোগানে মুখর ছিল নেতাকর্মীরা।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, খালেদা জিয়া চিকিৎসা করাতে বিদেশ যেতে চেয়েছিলেন। সেখানেও সরকারের বাধা।
কোটি মানুষের মায়ের চিকিৎসা করাতে যাদের বাধা তাদের প্রতি আমাদের ঘৃণা হয়।

চিকিৎসার জন্য অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে পাঠানোর সুযোগ করে দেয়া হোক। এটি তার মৌলিক অধিকার, মানবিক অধিকার।

তিনি আরও বলেন, দেশের কোটি মানুষের মা বেগম খালেদা জিয়া তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী, দুইবার বিরোধী দলীয় নেত্রী ছিল। সেই মাকে মিথ্যা অভিযোগে কারাগারে পাঠানো হলো।

তার চিকিৎসার দাবিতে সমাবেশ করতে চাইলে তাতেও বাধা এলো। দিনের ভোট রাতে নিয়ে ক্ষমতায় আসা সরকারের জনগণের কাছে দায়বদ্ধতা নেই।

খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে শহরের শহীদ স্মরণী সড়কে সোমবার বিকেলে সমাবেশের ডাক দেয় কক্সবাজার জেলা বিএনপি।

বিএনপির ডাকা সমাবেশস্থল থেকে ১০০ গজ দূরে শহীদ মিনারে গণতন্ত্রের বিজয় উদযাপন কর্মসূচি দেয় যুবলীগ।

একই জায়গায় দুই দল কর্মসূচি ডাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় সোমবার সকাল ৮টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করে জেলা প্রশাসন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক লুৎফুর রহমান কাজল বলেন, বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের অনুমতি থাকলেও তা পরে বাতিল করে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এটি অমানবিকতার পরিচয়।

এ কারণে আমরা ওই এলাকা থেকে সরে এসে ঈদগাহ মাঠে সমাবেশ করলাম। এতে আমাদের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী যোগ দিয়েছেন।

সোমবার সকাল থেকেই ১৪৪ ধারা জারি করা এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ, র‌্যাব মোতায়েন করা হয়। তাদের সঙ্গে আছেন চারজন ম্যাজিস্ট্রেট।

জেলার অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান বলেন, উত্তপ্ত পরিস্থিতির আশঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যেন না ঘটে সে জন্য সকাল থেকে প্রশাসন মাঠে আছে। সমাবেশেও পুলিশ ছিল। এখন পর্যন্ত কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নি।

Comments (০)
Add Comment