কোয়ার্টার ফাইনালে মরক্কো

নিজেদের বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্বিতীয় রাউন্ডের গণ্ডি কখনো পার হতে পারেনি আফ্রিকার দেশটি।কাতারের এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে ২০১০ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে মরক্কোর ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সাফল্যের হাতছানি ছিল।প্রথমার্ধে কেউই সুযোগ লাগাতে পারে নি।গোলশূন্য ‘ড্র’ নিয়ে বিরতিতে যায় দুই দল।দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার আরো বাড়াতে থাকে উভয় দল।তবে শেষ পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় নি স্পেন ও মরক্কো।ফলে নির্ধারিত সময়ের খেলা গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে। কিন্তু ১২০ মিনিটের ম্যাচেও ফলাফল কেউ নিজের পক্ষে নিতে পারেনি।শেষ পর্যন্ত পেনাল্টি শুটআউটে স্পেনকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ইতিহাস রচনা করে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে মরক্কো।

র‌্যাঙ্কিংয়ে স্পেনের থেকে ১৫ ধাপ পিছিয়ে থাকা মরক্কো ম্যাচের শুরু থেকেই সমানে সমান লড়েছে।ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় স্পেনের জাল খুঁজে পায় নি আফ্রিকার দেশটি। ডিফেন্ডার আছরাফ হাকেমি ডি বক্সের বাইরে থেকে ফ্রি কিক পেয়েও ফারপোস্টে লক্ষ্যবেধ করতে পারেন নি।অপরদিকে ম্যাচের ৩৫ মিনিটে ফেরান টোরেস ডি বক্সের ভিতরে সুযোগ পেলেও মরক্কোর ডিফেন্ডারদের দক্ষতায় ব্যর্থ হন।ম্যাচের ৪৩ মিনিটে সব থেকে বড় সুযোগ পায় আফ্রিকার দেশটি।ডি বক্সের ভেতরে হাকেমির করা ক্রস থেকে সুফিয়ান বুফাল বলের দখল রেখে লক্ষ্যে শট নিতে পারেন নি।শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য ড্রতে শেষ হয় প্রথমার্ধ।

দ্বিতীয়ার্ধের ৫৪ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে ডানপ্রান্ত থেকে ফ্রি কিক পায়।সে যাত্রায় লক্ষ্যভ্রষ্ট শটে জালের দেখা পায় নি।আক্রমণে ঢাড় বাড়াতে ৬৩ মিনিটে দুইটি পরিবর্তন আনে কোচ লুইস এনরিক।তার পরও স্কোরলাইনে কোন পরিবর্তন আসে নি।৯০ মিনিটের পর যোগ করা সময়ে শেষ প্রচেষ্টা করেছিলেন স্পেনের অল্মো।কিন্তু তার ক্রস রুখে দেন মরক্কোর গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনো।ফলে গোলশূন্য ড্রতে শেষ হয় নির্ধারিত সময়ের খেলা।ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে।

১২০ মিনিটের লড়াইয়েও ম্যাচের ফলাফল গোলশূন্য।অবশেষে টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ।সেখানে মরক্কোর গোলরক্ষক ইয়াসিন বুনো তিন তিনটি শট ঠেকিয়ে দেন।আফ্রিকার দেশটির হয়ে নায়কের ভূমিকায় যেন অবতীর্ণ হলেন স্প্যানিশ ক্লাব সেভিয়ার হয়ে খেলা এই গোলরক্ষক।নিজ দেশের হয়ে গড়লেন ইতিহাস।যা কেউই আগে করতে পারেনি। ফুটবল বিশ্বকাপের ইতিহাসে এই প্রথমবার শেষ আটে উঠেছে মরক্কো।

Comments (০)
Add Comment