খুটাখালী কিশলয় স্কুলে কোচিং ফি না দেয়ায় ছাত্রীকে অফিসে ডেকে হেনস্থার অভিযোগ।

কোচিং ফি আদায় না করায় রাফি নামের দশম শ্রেনীর এক শিক্ষার্থীকে অফিসে ডেকে বকাবকি করে মোবাইলে ঐ ছাত্রীর ছবি ধারন করে হেনস্থা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গতকাল সোমবার দুপুরে চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী কিশলয় আদর্শ শিক্ষা নিকেতন স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়ে ঘটে এ ঘটনা।

এ ঘটনায় রাফি’র পিতা রফিকুল আলম বাদী হয়ে চকরিয়া ইউএনও’র বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার খুটাখালী কিশলয় স্কুলে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ কোচিং চলে আসছিল। কোচিং ফি আদায় করা না হলে শিক্ষার্থীদের নানা ভাবে হেনস্থা করা হয়।

তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার দুপুরে রাফি নামের ঐ স্কুলের দশম শ্রেনীর ছাত্রীকে প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়ে ডেকে আনা হয়। এসময় তাকে কোচিং ফি আদায় করা হচ্ছে না কেন জানতে চান স্কুলের এডহক কমিটির সভাপতি সাইফুর রহমান।

একপর্যায়ে রাফি কোচিং করিনি বলাতে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেন তিনি। এসময় তিনি কার মেয়ে জিঙ্গাসা করে তাঁর মোবাইলে ঐ ছাত্রীর ছবি ধারন করে উচ্চ বাক্যে হাকাবকা করেন।

বিষয়টি কান্নাজড়িত কন্ঠে রাফি বাড়িতে গিয়ে তাঁর পিতাকে জানালে তাৎক্ষনিক রফিকুল আলম স্কুলে গিয়ে ঐ ঘটনার কৈফিয়ত চান। এসময় স্কুল কতৃপক্ষ ঘটনাটি মিমাংসার চেষ্টা চালায়।

এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে সোমবার সন্ধ্যায় চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন রাফির পিতা রফিকুল আলম।

তবে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হওয়ায় স্থানীয় মান্যগন্য ব্যক্তিবর্গ ওই স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিষয়টি সমঝোতার জন্য তদবির চালাচ্ছেন।

ঐ স্কুলের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান, কিশলয় স্কুলের প্রধান শিক্ষক জোর করে ওই স্কুলের শিক্ষার্থীদের কোচিং ক্লাসে যাওয়ার নির্দেশ দেন। এছাড়াও কোচিং না করলে বাধ্যতামূলক প্রতিমাসে কোচিং ফি’র টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।

তবে স্কুলের অনেক শিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষকের কথায় রাজি না হয়ে বিষয়টির প্রতিবাদ করে আসছিল।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ তাজুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে কোচিং ফি অনাদায়ী শিক্ষার্থীর তালিকা প্রস্তুত করে অফিসে ডেকে হেনস্থা করেন। এমনতর ঘটনাটি চাউর হলে ওই এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ তাজুল ইসলাম বিষয়টি অস্বীকার করে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে বলে দাবী করেন।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ান ত্রিপুরা বলেন, বিষয়টি শুনেছি এবং লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান।

Comments (০)
Add Comment