খুটাখালী মেদাকচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যান নয়নাভিরাম অভয়ারণ্য ও স্বচ্চ লেকের সৌন্দর্য্যের সংমিশ্রণ

কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফুলছড়ি রেঞ্জের খুটাখালী মেদাকচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যান (ন্যাশনাল পার্ক) কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লাগোয়া নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের অপূর্ব সমন্বয় ও স্বচ্চ লেক পর্যটকদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে।

পার্কের সৌন্দর্য ও স্বচ্চ লেকে অতিথি পাখিদের কলরব চিরচেনা সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে। সু-উচ্চ পাহাড়, মনজুড়ানো সবুজের ছায়াঘেরা গাছগাছালি, সন্ধ্যায় বন্যপ্রাণীর হাকডাক, লেকের স্বচ্ছ জলরাশি সব মিলিয়ে অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের নয়নাভিরাম অভয়ারণ্য মেদাকচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যান।

এখানে পর্যটকদের আকর্ষণ করার মতো রয়েছে অজস্র প্রাকৃতিক সৌন্দয্যের সংমিশ্রণ। বিকেলের গোধূলিতে লেকের সৌন্দর্য্যে মন ভরে যায়।

সরকারী ছুটির দিন, সপ্তাহের শুক্রবারে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ভ্রমণ করতে আসে ভ্রমণবিলাসী লোকজনের নিত্যদিনের আনাগোনায় মুখরিত থাকে পার্কটি। তবে লাখ টাকা ব্যয়ে পার্কে ইকো টুরিজম নির্মাণ করা হলেও পার্কের সৌন্দর্য্য বর্ধনের দৃশ্যমান কাজ চলমান রয়েছে।

চট্টগ্রাম থেকে আসা পর্যটক মামুনুর রশিদ বলেন, আমি একটি বেসরকারী কোম্পানীতে জব করি। বিনোদনের জন্য কক্সবাজারে যাওয়ার পথে পার্কে নেমেছি। পার্কের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কথা জেনেছি নানা প্রমাণ্য চিত্র ও খবরের কাগজে।

তিনি বলেন, এখানে বণ্যপ্রাণীর খাঁচা থাকলে আরো ভালো দেখাতো। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি কৃত্রিম সৌন্দর্য্যের সমন্বয় থাকলে পার্কটি আরো নান্দনিক হয়ে উঠতো বলে জানান ওই দর্শনার্থী।

ফুলছড়ি রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) ও মেদাকচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যান সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির সেক্রেটারী দীপন চন্দ্র দাস জানান, পার্ক সংস্কারের কাজ অব্যাহত রেখেছি। উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে পার্কের সংস্কারের জন্য বিভিন্ন সময় অবগত করেছি।

এছাড়া সম্প্রতি সময়ে ব্যবস্থাপনা কমিটির সমন্বয়ে পার্কের সামগ্রীক অবকাঠামোগত সংস্কারের বিষয়ে উধ্বর্তন কতৃপক্ষ বরাবর প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।

Comments (০)
Add Comment