গোপন ল্যাবে ভুয়া ” গুপ্তধন ” বানাচ্ছেন ৮ম শ্রেণী পাশ তারা মিয়া।

মহানগর গোয়েন্দা(উত্তর)বিভাগের অভিযানে মহানগর ও আন্তঃজেলা প্রতারকচক্র ও অজ্ঞান পার্টির ৩ সদস্য গ্রেফতার এবং প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত কয়েন তৈরির সরঞ্জামাদি,ব্রিটিশ আমলের ভুয়া কয়েন ও চেতনানাশক রাসায়নিক দ্রব্য উদ্ধার।

মহানগর গোয়েন্দা(উত্তর ও দক্ষিণ)বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার নিহাদ আদনান তাইয়ানের সার্বিক দিক-নির্দেশনায়,অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সোনাহর আলীর তত্ত্বাবধানে,পুলিশ পরিদর্শক আরিফুর রহমান এর নেতৃত্বে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি উত্তর বিভাগের টিম নং-৩৪ নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন বিবিরহাট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে প্রতারকচক্র এবং অজ্ঞান পার্টির মূল হোতা রফিকুল ইসলাম,শাহেদ আহম্মদ খান এবং মোহাম্মদ আলমগীরকে আটক করেন।

এই সময় তাদের দখল থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ১৮৩৯ সালের ব্রিটিশ আমলের তামা ও সিরামিকের ভুয়া কয়েন,উক্ত কয়েন তৈরির ডাইস,মনোগ্রাম,তামা,পোড়া মাটিসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি এবং চেতনানাশক দ্রব্য তৈরির কাজে ব্যবহৃত ক্লোরোফর্ম,পটাশিয়াম ক্লোরেড,হাইড্রোজেন সালফার এসিড,হাইড্রোক্লোরিক এসিড,সালফাহাইড্রিক এসিড, ইথিনিল,সালফার মনোক্লোরাইড,কস্টিক সোডা,কপার সারফাইড,প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত কথিত পুরাতন পয়সা তৈরির ডাইস,কথিত ব্রিটিশ পয়সা,তামা,পোড়া মাটিসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় রফিকুল ইসলাম,শাহেদ আহম্মদ খান এবং মোহাম্মদ আলমগীর দীর্ঘদিন ধরে পরস্পর যোগসাজশে সাধারণ লোকজনদের প্রাচীন মুদ্রার কয়েনে নির্দিষ্ট সময় চিনি রেখে তা গলিয়ে বিশ্বাস অর্জন করে বোকা বানিয়ে প্রতিটি কয়েন ১ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দামে বিক্রি করে প্রতারণার মাধ্যমে আর্থিকভাবে লাভবান হয়।

প্রতারণার পাশাপাশি বিভিন্ন সংঘবদ্ধ অজ্ঞান পার্টিকে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রনের মাধ্যমে চেতনানাশক রাসায়নিক দ্রব্য তৈরে করে সরবরাহ এবং বিক্রয় করে। অতঃপর উক্ত চেতনানাশক রাসায়নিক মিশ্রণ রুমাল, তোয়াল ইত্যাদির সাথে মিশ্রিত করে বাস,ট্রেন, সিএনজি সহ বিভিন্ন যানবাহনে থাকা যাত্রীদের উপর প্রয়োগ করে অজ্ঞান করে ফেলে রেখে সর্বস্ব নিয়ে পালিয়ে যায়।

Comments (০)
Add Comment