চট্টগ্রামে এই ৩০ এতিম শিশুর দিন কাটে অর্ধাহারে-অনাহারে

কখনো ডাল,কখনো আলুভর্তা, কখনও আবার দিন কাটে অর্ধাহারে।কোনো ব্যক্তি অনুদান দিলে ভাগ্যে জোটে একটুকরো মাংস।সরকারি কোনো সহযোগিতাও মেলে না তাদের।এভাবেই দিন কাটছে চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী রেল গেট স্ক্র্যাপ কলোনির বায়তুল হুদা মাদ্রাসার ৩০ জন এতিম শিশুর।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়,রেলওয়ের পরিত্যক্ত জায়গায় রেললাইনের পাশে গড়ে উঠেছে দুই রুমের এ মাদ্রাসার হিফজখানা ও এতিমখানা। এখানেই চলে এতিম শিশুদের কোরআন শিক্ষা।তবে এসব শিশুদের ভাগ্যে ভালো খাবার সহজে জোটে না।প্রায় সময় ডাল-ভর্তা দিয়ে খেতে হয়।কখনো যদি কোনো ব্যক্তি অনুদান দেন তাহলেই মাংসের ব্যবস্থা হয়।বুধবার এক ব্যক্তি মাংসের ব্যবস্থা করলে বেশ খুশি মনে দুপুর খাবার খেতে বসে এসব শিশু।
জানা যায়,২০১৯ সালে রেলের জায়গায় এতিম শিশুদের কোরআন শিক্ষা দিতে মাদ্রাসাটি গড়ে তোলেন হাফেজ আহাম্মদ সাফা(৬৫)।নিজের জমানো টাকা ও আত্মীয়স্বজনদের সহায়তায় এতিম শিশুদের কোরআন শিক্ষা ও খাবার খরচ চালান তিনি।এ কাজে তার সঙ্গে আছেন হাফেজ রমিজ উদ্দিন ও জামাল উদ্দিন।
মাদ্রাসার পাশেই বাসা মইদুলের(৪০)।তিনি বলেন,ভোরে এসব শিশুর কণ্ঠে কোরআন পাঠ শুনে ঘুম ভাঙে।মানুষের অনুদান না পেলে প্রায় সময় এতিম শিশুদের ভাত জোটে না।যতটুকু সম্ভব মানুষ এদের সহায়তা করে।আর তাতেই খেয়ে না খেয়ে কোনোমতে দিন চলছে তাদের।
মাদ্রাসার শিক্ষক জামাল উদ্দিন বলেন,হাফেজ আহাম্মদ সাফা ও রমিজ উদ্দিন এতিম শিশুদের কোরআন শিক্ষা দিতে এ হিফজখানা তৈরি করেছেন।
মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা হাফেজ আহাম্মদ সাফা বলেন,এতিম এসব শিশুর দুই বেলা খাবার জোগাড় করা অনেক কষ্টের।তবু শিশুদের মুখের দিকে তাকিয়ে যথাসাধ্য চেষ্টা করি।তিনি এসব এতিম শিশুর সহযোগিতায় সবাইকে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান।
Comments (০)
Add Comment