চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাং এর পাঁচ সদস্য র‍্যাবের হাতে আটক।

চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালি এলাকা হতে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের প্রস্তুতি কালে ” Teen Squad ” কিশোর গ্যাং গ্রুপের সক্রীয় পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

সারা দেশে কিশোর গ্যাং কালচার ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে,যার মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগর উল্লেখযোগ্য। বিভিন্ন ছত্রছায়ায় নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডে কিশোররা ব্যবহৃত হচ্ছে।সময়ের সাথে সাথে তাদের অপরাধের ধরনও পাল্টে যাচ্ছে।এলাকায় আধিপত্য বিস্তার,চাঁদাবাজি,চুরি-ছিনতাই থেকে শুরু করে খুনাখুনিসহ নানা অপরাধে কিশোর-তরুণরা জড়িয়ে পড়ছে।মাদক ব্যবসা ও দখলবাজিতেও তাদের ব্যবহার করা হচ্ছে।নানা অপরাধে জড়িয়ে কিশোররা ক্রমেই অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে।অধিকাংশ কিশোর গ্যাং গড়ে ওঠার পেছনে স্থানীয় এলাকার একটি চক্রের মদদ রয়েছে। ‘হিরোইজম’ প্রকাশ করতেও পাড়া-মহল্লায় কিশোর গ্যাং গড়ে উঠার অন্যতম কারণ।

দৃষ্কৃতিকারী কিশোর গ্যাং সদস্যরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতয়ালী থানাধীন কদমতলী বিআরটিসি বাসস্ট্যান্ডের পাশে নিভৃত স্থানে সমবেত হয়েছে খবর পেয়ে র‌্যাব জরুরি অভিযান পরিচালনা করে “Teen Squad” কিশোর গ্যাং গ্রুপের সক্রীয় সদস্য আবদুল গফুরের ছেলে রাহি উদ্দিন রহমান নিশান,মোক্তার আহমেদের ছেলে রবিউল হাসান,আবুল মঞ্জুর ছেলে শাহিনুজ্জামান মাসুম,নুরুল ইসলামের ছেলে তাফহিম মোহাম্মদ মারুফ,আবু আকতারের ছেলে আবরার মুনতাসির আদনানকে আটক করতে সক্ষম হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে তারা অকপটে স্বীকার করে যে,তারা বর্ণিত স্থানে সন্ত্রাসী ও অপরাধমূলক কর্মকান্ডের নিমিত্তে একত্রিত হয়েছিল।এছাড়াও আকটকৃত আসামীদের দেহ তল্লাশী করে তাদের নিকট হতে ধারালো ২টি স্টীলের চাকু উদ্ধারসহ তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

“Teen Squad” কিশোর গ্যাং নামক এই গ্রুপটি সাধারণত চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতয়ালী থানা এলাকায় স্থানীয়ভাবে রাস্তায় সংঘবদ্ধ হয়ে মারামারি, ছিনতাই,চাঁদাবাজী ও এলাকায় প্রভাব বিস্তার করাসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত।এছাড়াও এই গ্যাং এর সদস্যরা প্রকাশ্যে দিনে-দুপুরে স্থানীয় এলাকায় ছিনতাই,চাঁদাবাজী,নিজেদের মধ্যে মারামারি,অন্য সাধারণ কিশোরদের মারধর ও প্রাণনাশের হুমকী প্রদান,দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র প্রদর্শন এবং মাদক সেবন করে বলে জানা যায়।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে র‍্যাব জানিয়েছে।

Comments (০)
Add Comment