চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা চক্রের মূল হোতা গ্রেপ্তার।

চট্টগ্রামে সরকারি বিভিন্ন সংস্থায় বিভিন্ন পদে চাকরি দেয়ার কথা বলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।গ্রেপ্তার সোহেল আলম(৩৬)চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার চারিয়া শিকদার পাড়ার মৃত ফয়েজ আহমদের ছেলে।

চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার দেওয়ান নগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে শুক্রবার(২৩শে সেপ্টেম্বর)নিশ্চিত করেন র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক(মিডিয়া)নুরুল আবছার।

র‌্যাব জানায়,মিঠুন চক্রবর্তী পেশায় গাড়ি চালক।গাড়ি চালানোর সুবাদে মিঠুন চক্রবর্তীর সাথে প্রতারক মোহাম্মদ সোহেল আলমের সঙ্গে পরিচয় হয়।এক পর্যায়ে প্রতারক সোহেল হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মিঠুনকে ড্রাইভার পদে চাকরি দিতে পারবে বলে জানান।

প্রতারক মোহাম্মদ সোহেল আলম তার অপর সহযোগী জসীম উদ্দিনের সঙ্গে মিঠুন চক্রবর্তীকে পরিচয় করিয়ে দেন।এরপর দুই প্রতারক মিঠুন চক্রবর্তীকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৬ লাখ টাকা দাবি করে।টাকা দিলে স্থায়ীভাবে চাকরির ব্যবস্থা করে দেবে বলেও প্রলোভন দেখায়।

মিঠুন চক্রবর্তী তাদের কথায় বিশ্বাস করে গত জুলাই মাসে দুই ধাপে তাদের ৫ লাখ টাকা দেন।এরপর প্রতারক চক্রটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের স্বাক্ষর সম্বলিত একটি নিয়োগপত্র প্রদান করে। নিয়োগপত্রটি হাতে পাওয়ার পর যাচাই-বাছাই করে মিঠুন চক্রবর্তী জানতে পারেন,এটা একটা ভুয়া নিয়োগপত্র।এরপর এ বিষয়ে প্রতারক চক্রের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা হুমকি ধমকি দিতে থাকে।এক পর্যায়ে প্রতারকরা মিঠুনকে ১ লাখ টাকা ফেরত দেয়। বাকি টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিলেও যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় তারা।

সহকারী পরিচালক(মিডিয়া)নুরুল আবছার বলেন, ভুক্তভোগী মিঠুন র‌্যাবের কাছে প্রতারণার বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।পরে বৃহস্পতিবার(২২শে সেপ্টেম্বর)প্রতারক চক্রের মূল হোতা মোহাম্মদ সোহেলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

Comments (০)
Add Comment