ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণের অভিযোগে জালাল উদ্দিন নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭

রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে এক গৃহবধূ ও এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণের অভিযোগে জালাল উদ্দিন(৩২)নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭।মঙ্গলবার(৪ অক্টোবর ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।জালাল উদ্দিন লোহাগাড়া উপজেলার বড়হাতিয়া ইউনিয়নের তৈয়বের পাড়ার মৃত নুর আহমেদের ছেলে।

র‌্যাব-৭ সিনিয়র সহকারি পরিচালক নুরুল আবছার জানান,গত ২৫ সেপ্টেম্বর গৃহবধূ ও কিশোরী বাড়ির বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার জন্য লোহাগাড়া থানার বড়হাতিয়া ইউনিয়নের ফকিরহাট বাজারে যায়।বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ শেষে রিক্সাযোগে বাড়ি ফেরার পথে সকাল ১১ টার সময় কায়সার ও জালাল উদ্দিন রিক্সা আটকিয়ে তাদেরকে জোরপূর্বক একটি পরিত্যাক্ত টিনশেড ঘরে নিয়ে যায়।সেখানে কায়সার গৃহবধূকে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং জালাল উদ্দিন তার মোবাইল ফোনে ধর্ষণের ভিডিওচিত্র ধারণ করে।তখন কিশোরী চিৎকার করলে জালাল উদ্দিন তার মুখ চেপে ধরে এবং তাকেও তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ও ধর্ষণের ভিডিওচিত্র মোবাইলে ধারণ করে।এরপর ধর্ষণকারীরা গৃহবধূ ও কিশোরীকে পরিত্যাক্ত টিনশেড ঘরে ফেলে রেখে সেখান হতে পালিয়ে যায়।

তিনি আরও জানান,ধর্ষণকারীরা গৃহবধূ ও কিশোরীকে ধর্ষণের বিষয়ে কাউকে কিছু বললে তাদের মোবাইলে ধারণকৃত ধর্ষণের ভিডিওচিত্র ইন্টারনেটে ছেড়ে দিবে বলে হুমকি দেন।পরবর্তীতে ভিডিওচিত্র ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ২০ হাজার টাকা দাবি করে তারা।গৃহবধূর পরিবার তাদের সাড়ে আট হাজার টাকা দেয়।এরপরও বাকি টাকার জন্য চাপ দিতে থাকলে গত ২৯ সেপ্টেম্বর ওই গৃহবধূ লোহাগাড়া থানায় দুইজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।গত ৩০ সেপ্টেম্বর লোহাগাড়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে কায়সারকে গ্রেফতার করে।পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গ্রেফতার জালাল উদ্দিনকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

Comments (০)
Add Comment