নওগাঁয় সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার শাকিলা এর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ

নওগাঁ সদর উপজেলার ৫ নং হাঁপানিয়া ইউনিয়নের ০৭,০৮ ও ০৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার মোছা শাকিলা আক্তারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

আজ বুধবার ( ২৫ মে) অভিযোগ এর বিষয়ে সত্যতা যাচাই করার লক্ষে দৈনিক বিডিসি ক্রাইম নিউজ পত্রিকার সহ সম্পাদক ও জাতীয় দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি সরেজমিনে গিয়ে সুবিধা ভোগীদের কাছ থেকে জানতে পারে,অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিবাদ করলেই বিভিন্ন ভয়ভীতির শিকার হতে হয় বলে জানান সুবিধাভোগীরা।

এছাড়াও বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদানে সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে বলে কয়েকজনের কাছ থেকে জানতে পারা যায়।সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য মোছা শাকিলা আক্তার নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে জনসাধারণকে বিভিন্নভাবে হেনোস্থা করে আসছে।

তার নিজ এলাকায় গিয়ে জানতে পারা যায়, নির্বাচিত হওয়ার পরে প্রতিবেশী মোঃ রাজা হোসেনের বাগানের বেশকিছু গাছ জোরপূর্বক কর্তন করে জায়গা দখল করার অবৈধ চেষ্টা করে। যার প্রেক্ষিতে ভুক্তভোগী মোঃ রাজা হোসেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ করে; যে মামলাটি এখনো চলমান রয়েছে।

সাংবাদিকগণ এ বিষয়ে সরজমিনে তদন্তে গেলে মহিলা মেম্বারের পিতা মোঃ ভুট্টু সাংবাদিকদের অশ্রিল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে ভুট্টু সাংবাদিকদের মারার হুমকি দেয় এবং সাংবাদিক সবুজ হুসাইনের পিতার কাছে বলে আপনার ছেলেকে সাবধান করে দেন। নিউজ বন্ধ করার জন্য হুমকি দেয়।

অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউনিয়ন সমাজকর্মী মনোয়ারা বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কোনো কথা বলতে পারব না। আমার ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তা সব জানেন।’

হাঁপানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ রাজা বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদে শতভাগ নিয়ম মেনে কাজ করা কঠিন। তবে কেউ কারো কাছ থেকে একটি টাকাও যেন না নেই এবিষয়ে আমার কড়া নির্দেশ ছিল, আছে এবং থাকবে। তবে আমার কথা অমান্য করে কেনো টাকা নিলো আমার বোধগম্য হয় না। তারপরও আগামীতে এ ধরনের কোনো অনিয়ম যাতে না হয় সে বিষয়ে তদারকি করা হবে।’

অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন, ‘ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের অনুমতি ছাড়া কোনো বক্তব্য দিতে পারব না। আমার দফতরে বয়স্ক, বিধবা এমনকি প্রতিবন্ধী ভাতা ভোগীদের তালিকাও থাকে না। এসব তালিকা ইউনিয়ন সমাজকর্মীদের কাছে থাকে।’

Comments (০)
Add Comment