ঢাকা,সিলেট ও কুমিল্লাসহ দেশের ১৯ জেলা থেকে কথিত হিজরতের নামে নিরুদ্দেশ হওয়া তরুণদের মধ্যে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।তাদের তথ্যের ভিত্তিতেই র্যাব জানতে পারে,নিরুদ্দেশ তরুণরা পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম পাহাড়ে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে।সেখানে গত ১০ই অক্টোবর থেকে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
বুধবার(১৯ অক্টোবর)দুপুরে কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন,অপারেশনে বেশ অগ্রগতি হয়েছে,আমরা বেশ কিছু দূর পর্যন্ত চলে এসেছি।আশা করছি সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকজনকে আইনের আওতায় আনতে পারব।যেহেতু বান্দরবানের জায়গাটা দুর্গম, ঝুঁকিপূর্ণ এবং পর্যটকরা ঘোরাফেরা করেন।এজন্য স্থানীয় প্রশাসন ওই এলাকায় পর্যটক যেতে নিষিদ্ধ করেছে।
পাহাড়ে জঙ্গিদের অবস্থান সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য মিলেছে জানিয়ে কমান্ডার মঈন বলেন,আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।দ্রুতই বিস্তারিত গণমাধ্যমে জানানো হবে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।এ বিষয়ে র্যাব কী বলছে? এমন প্রশ্নের জবাবে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন,এখন পর্যন্ত আমাদের যে তথ্য তাতে দুর্গম অঞ্চলে স্থায়ী হতে সাপোর্ট লাগে।যে কেউ গিয়ে সেখানে স্থায়ী হতে পারবে না।এজন্যই বিচ্ছিন্নতবাদী কিছু সংগঠন নিরুদ্দেশ ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, সরদ সাপ্লাই করা এগুলো করছে বলে আমরা তথ্য পেয়েছি।
তিনি আরও বলেন,এই তথ্যের ভিত্তিতেই আমরা সেখানে অভিযান চালাচ্ছি।যেসব ভিডিও ভাইরাল হয়েছে,এগুলো গুজব মনে হয়েছে।যৌথবাহিনীর অভিযান যথাযথ নিয়ম মেনেই হচ্ছে।ফেসবুক পেজগুলোর ব্যাপারে আমাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ব্যবস্থা নিচ্ছে।তবে আমাদের অভিযান নিয়ে যেসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে,এগুলো ভুল তথ্য।
বিভিন্ন অস্ত্র দিয়ে পাহাড়ে ট্রেনিং নেওয়ার ভিডিও প্রসঙ্গে র্যাব মুখপাত্র বলেন,এগুলো আমাদের কাছে গুজব মনে হয়েছে।এই ভিডিও সম্ভবত আমাদের এখানকার না।তবে আমাদের যে অভিযান চলছে, তাদের যদি আটক করতে সক্ষম হই তখন বিস্তারিত বলতে পারব।