নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা জহুরা মুক্তাকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে সোহেল আহমেদ সেলিম,রাশেদ আমিন ও তাদের ভাতিজি নিকির বিরুদ্ধে।

চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর এলাকায় নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা জহুরা মুক্তাকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে সোহেল আহমেদ সেলিম,রাশেদ আমিন ও প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে পড়ুয়া তাদের ভাতিজি নিকির বিরুদ্ধে,ভিডিও ধারণ করায় সাংবাদিকদের উপরও হামলা করা হয় বলে জানা গেছে।

নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা জহুরা মুক্তাকে মারধরের ঘটনার ভুক্তভোগী ও প্রত্যাক্ষদর্শীদের বক্তব্য নেওয়ার সময় নির্মম হামলার শিকার ভুক্তভোগী গর্ভবতী নারী সহ সংবাদকর্মীরাও।

এলাকাবাসীর সামনেই নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীকে বিবস্ত্র করে করে মারধর করা হয়েছে যা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে।ইচ্ছাকৃতভাবে পা দিয়ে আঘাত করা হয়েছে অন্তঃসত্ত্বা জহুরা মুক্তার পেটে,এতে ওই সন্তান নষ্ট হওয়ার আসংখ্যা রয়েছে বলে জানা যায়।

ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানার পাশ্ববর্তী ৩নং ডিপো গেইটের বিপরীতে হাজী বিরানী গল্লিতক হামিদ আলী সওদাগরের বাড়ির নুরুল আমিন লেদুর ছকিনা মন্জিলের পার্কিংয়ে গতকাল ৮ই আগষ্ট(সোমবার) বিকেলে এই নেক্কার জনক ঘটনাটি ঘটে।এমন কর্মকান্ডে এখন যেন পুরো প্রশাসনই এখন প্রশ্নবিদ্ধ।

শাহেদ আমিনের আপন ভাই সোহেল আহমেদ সেলিম ও রাশেদ আমিন সহ তার ভাবীরা ও প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে পড়ুয়া ভাতিজি নিকির হাতে নির্মম হামলার শিকার অন্তঃসত্ত্বা জহুরা মুক্তা।শাহেদ আমিন স্ত্রীকে নিয়ে থানায় বারবার গিয়েও অদৃশ্য কারনে মামলা করতে পারেন নি।

এদিকে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দ্বারা একের পর এক হামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন অন্তঃসত্ত্বা জহুরা মুক্তার পরিবার।নিজেদের নিরাপত্তা চেয়েও এখনো পর্যন্ত কোন রকম সহায়তা না পাওয়ার দাবী করেছেন হামলার স্বীকার হওয়া জহুরা মুক্তার স্বামী শাহেদ আমিনের।তবে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ সাহেদ আমিন ফোন করলে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ কবির ঘটনাস্থলে পুলিশ ফোর্স পাঠান।

এই বিষয়ে বন্দর ৩৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু মোর্শেদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি,তবে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় তিনি ব্যাক্তিগত কাজে দেশের বাহিরে রয়েছেন।

প্রথম থেকে প্রশাসনের এমন নিরবতায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এলাকার জনগণের মনে।তাদের মতে যেকোন একটি অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য হয়ত অপেক্ষা করছে প্রশাসন।সিসিটিভি ফুটেজে প্রকৃত দোষীদের সনাক্ত করার পরেও থানা পুলিশ কর্তৃক সময় মত যথাযত পদক্ষেপ না নেয়ার কারণেই এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে বলে জানান স্থানীয় এলাকাবাসী।এই বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার।

Comments (০)
Add Comment