পটিয়া রাহাত আলী স্কুলের বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মানউন্নয়ন নিয়ে পাঠদান

সেলিম চৌধুরী,পটিয়াঃ চট্টগ্রামের পটিয়ায় ৬ জুলাই পটিয়া এ এস রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের পিএসসিতে বৃত্তিপ্রাপ্ত ১৩ জন শিক্ষার্থী পাঠদান বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের নিকট পরামর্শ নিতে আসলে বিষয়টি প্রধান শিক্ষক কোচিং  করাচ্ছেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করেন একটি চক্র।

বিষয়টি স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা ও স্কুল কমিটির অনেকে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। স্কুলের শিক্ষার্থী ও অভিভাবক ও স্কুল পরিচালনা কমিটির একাধিক সদস্য স্কুলের প্রধান শিক্ষকের নিকট অনুরোধ জানান।এর ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে গত ৬ জুলাই গরীব অসহায় স্কুলের ১৩ জন বৃত্তিপ্রাপ্তসহ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনার জন্য ডাকেন।

এতে শিক্ষার্থীরা অনলাইন ও সংসদ টিভির পাঠদানের বিষয়য়ে পরামর্শও নেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. শাহদাত হোসেনের কাছ থেকে। প্রধান শিক্ষক শিক্ষার্থীদের অনুরোধ জানান বর্তমান যারা ১৩ জন বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী রয়েছে তারাসহ জেএসসিতে কমপক্ষে ৪০/৪৫ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি পেতে হবে বিষয়টি মাথায় রেখে সবাইকে বাড়িতে মনযোগ সহকারে পাঠদান করার নির্দেশ দেন। যদি কারো সমস্যা থাকে সপ্তাহে একদিন স্কুলে এসে বিনামূলে পাঠদানে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন প্রধান শিক্ষক শাহদাত হোসেন।

সূত্রে জানায়, এএস রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ট থেকে ১০ শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ১৭শ শিক্ষার্থী রয়েছে। চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল ৩৫৫জন এরমধ্যে পাশ করেছে ৩৩২ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩২ জন ফলাফল ও রেজালের দিক নিয়ে উপজেলার শীর্ষ স্থানে বর্তমান স্কুলের অবস্থান। পার্শ্ববর্তী পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়টি এই স্কুলের চির প্রতিদ্বন্দী।

স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে রয়েছে সরওয়ার হায়দার, স্কুল পরিচালনা কমিটির দায়িত্বে রয়েছে কাউন্সিলর খোরশেদ গণি, কাউন্সিলর গোফরানা রানা, ফরিদ আহমদ, আলহাজ্ব আলী হোসেন, আবু তৈয়ব। স্কুল নিয়ে এমন অপপ্রচারে স্কুল পরিচালনা কমিটি ও স্কুলের শিক্ষক অভিভাবক ও বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থীদের সংগঠক আবু তাহের চৌধুরী বলেন, প্রধান শিক্ষক শাহদাত হোসেন স্কুলের মান উন্নয়নের জন্য বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের পাঠদানের বিষয়ে পরামর্শ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে যারা রাজনীতি শুরু করছে তাদের মন মানসিকতা পরিবর্তন করা দরকার, এই ধরণের বিয়ষয়ে স্কুলের শিক্ষকদের আমরা সাবেক শিক্ষার্থীরা সব সময় সহযোগিতা ও সমর্থন থাকবে।

এ বিষয়ে স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য ফরিদ আহমদ বলেন, স্কুলের দায়িত্ব নেয়ার পর রেজাল ভাল হওয়ায় অনেকের মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছ স্কুলের ভাল ফলাফলের জন্য স্কুলের শিক্ষকেরা যখন যা করবে তাতে কমিটির সহযোগিতা থাকবেন বলে তিনি জানান। এ প্রসঙ্গে স্কুলের প্রধান শিক্ষক শাহদাত হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীরা জেএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে আসলে বৃত্তিপ্রাপ্ত ১৩ জন শিক্ষার্থীদের ভাল ফলাফল করার জন্য ডাকানো হয়।

এরমধ্যে ৮ জন উপস্থিত ছিল কোন ধরণের কোচিং  করা হয়নি মূলত মেধাবী শিক্ষার্থীরা বাসায় পড়ে ভাল রেজাল করার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। এ এস রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সরওয়ার হায়দার বলেন, আমি শুনেছি প্রধান শিক্ষক নাকি স্কুলের কোচিং করাচ্ছে বিষয়টি আমি জানার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছি, আমি বেশীভাগ ঢাকায় থাকার কারণে বিস্তারিত জানি না।

Comments (০)
Add Comment