পাঁচলাইশ মডেল থানার অভিযানে পুলিশকে জখম করে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ৭ জন আটক।

সিএমপি’র পাঁচলাইশ মডেল থানা পুলিশের অভিযানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পুলিশকে জখম করে ছিনিয়ে নেওয়া আসামীসহ মোট ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গত ২১ অক্টোবর দুপুর সাড়ে বারোটায় বন্দর থানাধীন বন্দর সিপিআর গেইট সংলগ্ন বন্দর আবাসিক গেইটের পূর্ব পাশে মাঝামাঝি রাস্তার উপর ২ জন ছিনতাইকারী যথাক্রমে ইমাম হোসেন প্রঃ আকাশ(২৫) ও শাহাজাদ হোসেন(২৫)কে একজন চীনা নাগরিক পথচারীকে ধারালো ছোরা ধারা ঘাঁই মেরে ছিনতাই করাকালে উপস্থিত জনতা ছিনতাইকারীদেরকে গণধোলাই দেয় এবং তাদের আহত অবস্থায় বন্দর থানা পুলিশের নিকট সোর্পদ করে।

পরে বন্দর থানার পুলিশ যথাযথ পুলিশ স্কটের মাধ্যমে ছিনতাইকারীদেরকে চিকিৎসার জন্য বন্দর হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং সেখান থেকে বন্দর হাসপাতাল কর্তৃক তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের চমেক হাসপাতালে নিয়ে যায়।

বন্দর থানা পুলিশ আসামী শাহাজাদ হোসেন(২৫)কে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বন্দর থানা হেফাজতে নিয়ে যায় এবং আসামী ইমাম হোসেন প্রঃ আকাশ(২৫) পুলিশ স্কটের মাধ্যমে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকে।পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ২১ অক্টোবর রাত পৌঁনে আটটায় আসামীর ছোট ভাই হোসেন এর নেতৃত্বে আকাশ প্রঃ ছোট আকাশ,বেলাল,মুন্না,সোনিয়া,আছমা,সুমাইয়া সহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন হাতে ধারালো দা,কিরিচ,ছোরা নিয়ে পুলিশ স্কটের উপর অর্তকিত হামলা করে পুলিশ স্কটে নিয়োজিত কনস্টেবল দেলোয়ার হোসেনকে ছোরা দ্বারা ঘাই মেরে আহত ও মারধর করে আসামী ইমাম হোসেন প্রঃ আকাশ(২৫)কে পুলিশ হেফাজত হতে ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।

উক্ত ঘটনায় সংবাদ পেয়ে পাঁচলাইশ মডেল থানা পুলিশ,চমেক হাসপাতাল পুলিশ বক্স,বন্দর বিভাগের ও বন্দর থানার ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারগণ অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স সহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আহত পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।

পরবর্তীতে পুলিশ হেফাজত হতে পলায়নকৃত আসামী ও সহযোগী অন্যান্যদের বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ মডেল থানার মামলা নং-১৯, তাং-২২/১০/২০২৫,
ধারা-২২৪/২২৫/১৩০/৩৩২/৩৩৩/৩৫৩/৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০ রূজু করা হয়।

পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা মোতাবেক পাঁচলাইশ মডেল থানার একটি চৌকস আভিযানিক দল তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ও গুপ্তচরের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ২২ অক্টোবর রাত সাড়ে বারোটায় রাত বিভিন্ন সময় সিএমপি’র পাঁচলাইশ মডেল থানাধীন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা হতে ১।আছমা (২৮),পিতা-রুহুল আমিন,মাতা-মরিয়ম বেগম, সাং-সল্টগোলা ক্রসিং,আজমের ভাড়াঘর,থানা-বন্দর, জেলা-চট্টগ্রামকে,সিএমপি’র পতেঙ্গা থানাধীন কাঠগড় মাইজপাড়া ও চৌধুরী পাড়া এলাকা হতে ২।মুন্না (২২), পিতা-ইলিয়াছ,মাতা-বেবী আক্তার,সাং-কাঠগড় মাইজপাড়া,সালাম এর ভাড়াঘর,পতেঙ্গা,চট্টগ্রাম এবং ৩। সুমাইয়া আক্তার(২৪),পিতা-শহিদুল ইসলাম, মাতা-শামীমা আক্তার,সাং-গণি সারাং এর বাড়ী,মধ্যম পতেঙ্গা,ডেইলপাড়া,থানা-পতেঙ্গা,জেলা-চট্টগ্রামকে, সীতাকুন্ড থানাধীন ছোট কুমিরাস্থ চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কে অস্থায়ী চেকপোষ্ট স্থাপন করে ৪।ইমাম হোসেন প্রঃ আকাশ(২৫),পিতা-আনোয়ার হোসেন, মাতা-সালমা বেগম,সাং-বরুমছড়া,ইয়ার মাহমুদের বাড়ী,৫নং বরুমছড়া ইউপি,থানা-আনোয়ারা, জেলা-চট্টগ্রাম,বর্তমানে-কাঠগড়,মাইজপাড়া,কবিরের ভাড়াঘর,থানা-পতেঙ্গা,জেলা-চট্টগ্রাম এবং ৫। সোনিয়া আক্তার (২৪),পিতা-মৃত মালেক,মাতা-ভানু বেগম, সাং-ডালপাড়,মন মেম্বার এর বাড়ী,আন্দিকোট ইউপি, থানা-মুরাদনগর,জেলা-কুমিল্লা,বর্তমানে-কাঠগড়, মাইজপাড়া,কবিরের ভাড়াঘর,থানা-পতেঙ্গা, জেলা-চট্টগ্রামকে এবং সিএমপি’র ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী বেডিবাঁধ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৬।হোসেন(১৯),পিতা-আনোয়ার হোসেন,মাতা-সালমা বেগম,সাং-বরুমছড়া,ইয়ার মাহমুদের বাড়ী,৫নং বরুমছড়া ইউপি,থানা-আনোয়ারা,জেলা-চট্টগ্রাম,বর্তমানে-পুরাতন ডাকঘর,কালু সওদগর এর ভাড়াঘর,থানা-বন্দর,জেলা-চট্টগ্রাম এবং ৭। রাব্বি প্রঃ ছোট আকাশ(১৯),পিতা-আবুল বশর,মাতা-লাইজু বেগম,সাং-পশ্চিম চন্দ্রপোশাত,সাহেব আলী বেপারী বাড়ী,ভেলুমিয়া ইউপি,থানা-সদর,জেলা-ভোলা,বর্তমানে-ধোপার দিঘীর পাড়,ইয়াম আলী কোম্পানীর ভাড়াঘর,থানা-বন্দর, চট্টগ্রামকে গ্রেফতার করা হয়।আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

উল্লেখ্য যে,ইমাম হোসেন প্রঃ আকাশ(২৫)এর বিরুদ্ধে সিএমপির বিভিন্ন থানায় ১২ টি মামলা,হোসেন(১৯) এর বিরুদ্ধে সিএমপির বিভিন্ন থানায় ৬ টি মামলা,রাব্বি প্রঃ ছোট আকাশ(১৯)এর বিরুদ্ধে সিএমপির বিভিন্ন থানায় ৪ টি মামলা রয়েছে।

আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

Comments (০)
Add Comment